নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে বড়সড় মাওবাদী হামলা ছত্তিসগঢ়ে। মৃত্যু হল ৪ জওয়ানের। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার বিজাপুর জেলায় জওয়ানদের বাঙ্কার লক্ষ্য করে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসড) বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভড পুলিস ফোর্স)-র ১৬৮ ব্যাটেলিয়নের ৫০-৬০ জন জওয়ান এলাকা টহলে বেরিয়েছিলেন। বিকেল ৪টে নাগাদ ৬ জওয়ানের একটি মোবাইল বুলেটপ্রুফ বাঙ্কারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। অ্যান্টি নক্সাল অপারেশনের স্পেশ্যাল ডিজি ডি এম অবস্তি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জওয়ানের। গুরুতর জখম অবস্থায় ২ জওয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘শুধুমাত্র পাকিস্তান বা ব্রিটিশরা নয় দেশভাগের জন্য সমান দায়ী ভারতও’


আভাপল্লী থানার মন্দির পুলিয়ায় এই বিস্ফোরণটি ঘটে। জওয়ানদের বেস ক্যাম্প থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণস্থলটি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বেস ক্যাম্পের এত কাছে কীভাবে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখে গেল মাওবাদীরা। এক সিনিয়র পুলিস কর্তা জানান, বেস ক্যাম্পের এত কাছে বিস্ফোরণ ঘটা  দুর্ভাগ্যের বিষয়। মোবাইল বাঙ্কার ওড়ানোর মতো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি ব্যবহার খতিয়ে দেখছেন বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মৃত জওয়ানরা হলেন এএসআই মীর মইতুর রহমান, হেড কনস্টেবল বিএম বেহরা, কনস্টেবল সি এইচ প্রবীণ এবং জি শ্রীনু কুমার।


আরও পড়ুন- রেলের হাতে এবার শক্তিশালী হাইস্পিড ইঞ্জিন, এক ধাক্কায় বাড়বে রাজধানী-শতাব্দীর গতি!


উল্লেখ্য, আগামী ১২ নভেম্বর ছত্তিসগঢ়ের প্রথম দফায় নির্বাচন। মাও অধুষ্যিত বিজাপুর এবং বস্তারের ১১টি আসনে ভোট হবে। গত কালই বস্তার, সুকমা, দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুরে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিং। মাওবাদীদের এই হামলাকে তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।