Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ-বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের
`মন ও শরীরের সংমিশ্রণেই ব্যক্তি স্বাধীনতা গড়ে ওঠে`।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ নয়। কিন্তু মামলা যদি বিবাহ-বিচ্ছেদের হয়, সেক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ। ঐতিহাসিক রায় দিল কেরল হাইকোর্ট। আদালতের মতে, স্ত্রী শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন স্ত্রী। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামীও। আলাদাভাবে দুটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুটি আবেদনই খারিজ হয়ে গেল। কেন? এদিন শুনানিতে কেরল হাইকোর্টের দুটি বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, 'ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত নয়। যদিও এই বিষয়টিকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে ফেলা হয়'। তাঁদের মতে, 'স্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে তাঁর শরীরের উপর বলপূর্বক স্বামীর কর্তৃত্ব বৈবাহিক ধর্ষণই'।
আরও পড়ুন: Farm Law-র বিরোধিতা, যন্তর মন্তরে কৃষকদের সঙ্গে বিক্ষোভে বিরোধীরা, নেই TMC-APP-BSP
আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই যে একে অপরের সমকক্ষ বলে জানিয়েছে আদালত। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, 'শরীরই হোক কিংবা আত্মপরিচয়, স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না স্বামী। স্ত্রী শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া আ কিছুই নয়'।
এদেশে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ক কী আদৌ ধর্ষণ বলে বিবেচিত হতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, বৈবাহিক ধর্ষণের ধারনাটি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করেছে। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। আদালতের কী মত? কেরল হাইকোর্ট বলেছে, মন ও শরীরের সংমিশ্রণেই ব্যক্তি স্বাধীনতা গড়ে ওঠে। তাই শরীরে আঘাত হানার অর্থ ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)