নিজস্ব প্রতিবেদন- এদেশে এই প্রথম। রূপান্তরকামীদের জন্য গণবিবাহের আয়োজন! এমনই এক আয়োজনে ১৫ জন রূপান্তরকামী জীবনসঙ্গী খুঁজে পেলেন। ছত্তীসগঢ়ের রায়গড়ের মেয়র মধু কিন্নর এমনই এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিলেন। একেবারে প্রথা মেনে ১৫ জন রূপান্তরকামী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। গণবিবাহের আসরে হাজির থেকে যাবতীয় কর্মকাণ্ডের তদারকি করে গেলেন মধু কিন্নর। সুস্থ সমাজগঠনে তাঁর এমন পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই গণবিবাহে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক রূপান্তরকামী হাজির হয়েছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ভিডিয়ো: আর ৭২ হাজার নয়, গরিবদের বছরে কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাহুলের!



মধু কিন্নর বলছিলেন, ''নিঃসঙ্গতা একটা অভিশাপের মতো। সেটা রূপান্তরকামীদের থেকে ভাল আর কারা জানে! রাগ, দুঃখ, ভালবাসা, আনন্দ ভাগভাগি করে নেওয়ার মতো সঙ্গী প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রয়োজন। এমন একটা উদ্যোগ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। সরকার আমাদের এমন একটা পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অধিকার দিয়েছে। ১৫ জন রূপান্তরকামী তাঁদের ভালবাসার মানুষ খুঁজে পেল।'' প্রসঙ্গত, রায়গড়ের এই মেয়র নিজেও একজন রূপান্তরকামী। এর আগেও একাধিকবার তিনি রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন। 


আরও পড়ুন-  সেনার খাবারের মান নিয়ে তোলপাড় ফেলে খবরে, এবার মোদীর বিরুদ্ধেই প্রার্থী প্রাক্তন জওয়ান তেজবাহাদুর


ভারতে এর আগে কখনও কোথাও রূপান্তরকামীদের জন্য গণবিববাহের আয়োজন হয়নি। মধু তাই এই উদ্যোগকে সূচনা বলে ধরছেন। তিনি বলছেন, সমাজ এখন উন্নত। মানুষ আমাদের দুঃখ-কষ্ট বোঝে। রূপান্তরকামীদের জন্য এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও নেওয়া হবে। রায়পুরের রূপান্তরকামী সমাজকর্মী বিদ্যা রাজপুত গণবিবাহের আয়োজনে মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন। তিনিও এই ধরণের উদ্যোগ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বছর পাঁচেক আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে স্বীকৃত। ফলে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো সাংবিধানিক স্বাধীনতা ও অধিকার তাঁদেরও প্রাপ্য।