ওয়েব ডেস্ক: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এদিকে মালবাজারের চাঁপাডাঙার পর নদুন করে ভাঙন শুরু গজলডোবায়। তবে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গজলডোবা থেকে আরও ১ হাজার ৯২২.২৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফুঁসছে তিস্তা। জলমগ্ন মালবাজারের চাপাডাঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকা। কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি একইরকম।  মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে নদীভাঙন শুরু হয় গজলডোবা এলাকায়। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মিলন পল্লি, টাকিমারি, দুধিয়া এলাকা। সকাল থেকে ক্যানাল রোড বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় মানুষ। তাদের দাবি, তিস্তার জলে সর্বস্বান্ত হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।  বিক্ষোভ-অবরোধে আটকে পড়ে কয়েকশো গাড়ি। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।


একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।  শিলিগুড়ি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জল জমেছে। জলবন্দি বিধাননগরের রবীন্দ্র পল্লির  প্রায় ১০০টি পরিবার। পানীয় জল ও খাবারের সঙ্কটে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। সোমবার রাতের প্রবল বৃষ্টিতে কোচবিহার  শহরের বেশকিছু রাস্তা জলমগ্ন। ফুঁসছে তোর্সা, রায়ডাক, কালজানি, মানসাই । শহরের বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন। জলের স্রোতে পাড় ভাঙছে।  বাড়িঘর, কৃষিজমি জলের তলায়।


অসমে বন্যা পরিস্থিতি জটিল। (ধুবড়ি, ডিব্রুগড় সহ ২০টি জেলার প্রায় ২০০০এর বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। জলে ডুবেছে ১৫, ৩১ ও ৫২ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশকিছু অংশ। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা, ধানসিঁড়ি সহ অন্যান্য নদীর জল।)


বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। মৃত্যু হয়েছে হরিণ সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণের। জল থেকে বাঁচতে উচু জায়গার খোঁজে ছুটছে পশুরা। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনবালের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে। কয়েকটি এলাকায় জল জমলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জল নেমে যায়। দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে হলুদ সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে।