নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গিহানা। সিআরপিএফের কনভয়ে ঘটানো হল আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের দাপটে তালগোল পাকিয়ে যায় সিআরপিএফের একটি বাস। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরও কয়েকটি যানবাহন।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর পুলওয়ামার অবন্তিপোরার গোরীপোরায় ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিল সিআরপিএফের ৫৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের কনভয়। ওই কনভয়ে ছিলেন ২৫০০ সিআরপিএফ জওয়ান।  উরি হামলার পর এতবড় জঙ্গি আক্রমণ হাল আমলে আর হয়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে কনভয়ে। সঙ্গে সঙ্গেই ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সিআরপিএফের গাড়িটি।


আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে রাহুল গান্ধীর গালে কংগ্রেস নেত্রীর চুমু, দেখুন ভিডিয়ো


২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়েছিল। সেবারও লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। দু'দশকের মধ্যে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় জঙ্গিহানা।



তার পর এত বড় হামলা আর হয়নি। প্রশাসনিক মহলের অনুমান, সেই হামলার ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে এই হামলা। কারণ, উরির সেনা ছাউনির সেই হামলায় ১৯ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।


আরও পড়ুন: অনিশ্চয়তায় পিএফ-পেনশনের কয়েক হাজার কোটি টাকার ভবিষ্যত, আশঙ্কায় লাখ লাখ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী


উল্লেখ্য, উরির সেই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। বৃহস্পতিবারও হামলার দায় ওই জঙ্গি সংগঠনই স্বীকার করে নিয়েছে।



জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ। তখন ওই এলাকা দিয়ে সিআরপিএফের ৭০টি গাড়ির কনভয় যাচ্ছিল। তার মধ্যে একটি গাড়িতে হামলা হয়। রাস্তার পাশেই একটি গাড়িতে আইইডি রাখা ছিল।



কনভয় যাওয়ার সময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন সবচেয়ে কাছে যে গাড়িটি ছিল, তাতে ৫০ জন সিআরপিএফ জওয়ান ছিল। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।


এই ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন আরও সেনা জওয়ান। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪০ জনের দেহ মিলেছে। বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে।