পড়াশোনার ব্যবস্থা করুন, কেন্দ্রকে আর্জি যন্তরমন্তরে জমায়েত ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের
গত ৪ মার্চ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিদেশ পাঠরত যেসব ডাক্তারি পড়য়াদের ইনটার্নশিপ বাকী রয়েছে তারা দেশে তা করতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচলেও প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ার ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত। কবে ইউক্রেনে তারা ফিরতে পারবেন তা এখনও অনিশ্চিত। এখন তাঁরা চাইছেন, দেশেই তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিক সরকার। এমনই এক আর্জি নিয়ে রবিবার যন্তরমন্তরে জমায়েত করলেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অভিভাবকরাও। পোস্টারে কেন্দ্রের কাছে তাদের আর্জি, ভবিষ্যত অনিশ্চিত। পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিন।
ইউক্রেন থেকে বাংলাতেও ফিরতে বাধ্য হয়েছেন বেশকিছু এমবিবিএস পড়ুয়া। কেউ আবার সেখানে ইনটার্নশিপও করছিলেন। যুদ্ধের জন্য সেদেশ ছাড়তে হয়েছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তাদের মমতা অভয় দেন, তাঁর পক্ষে যা করা সম্ভব তা তিনি করবেন। কেন্দ্রেকে চিঠিও লিখবেন। এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, কেন্দ্র শুধু অনুমতি দিক। এখানে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করব। এক জন্য কেন্দ্রকে কোনও খরচ করতে হবে না।
কিয়েভ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে এমবিবিএসের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অর্জুন বাতিস। তাঁর বাবা আজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমাদের সন্তানের পড়াশোনার ব্যপারে সহানুভুতির সঙ্গে চিন্তভাবনা করুক কেন্দ্র।
এদিকে, গত ৪ মার্চ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিদেশ পাঠরত যেসব ডাক্তারি পড়য়াদের ইনটার্নশিপ বাকী রয়েছে তারা দেশে তা করতে পারে। কিন্তু যারা পড়াশোনার এখনও মাঝখানে তাদের জন্য কোনও আশার কথা শোনায়নি কেন্দ্র।
দেশের ১৮ রাজ্যের ৫০০ ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়া সম্মিলিতভাবে তাদের কেরিয়ার বাঁচানোর আবেদন করেছেন কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু আদৌ কি ওইসব পড়ুয়াদের এদেশের কলেজগুলিতে ভর্তি নেওয়া সম্ভব? বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সি এস কান্দপল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভারতের ১৮ হাজার ছাত্র ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়েন। এদের সবাইকে এদেশে ভর্তি সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-হবু স্বামীকে মেরে ফেলার 'হুমকি', মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে 'গণধর্ষণ'