CAB নিয়ে ভ্রান্তিতে ভুগছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী, মন্তব্য ভারতের বিদেশমন্ত্রকের
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে রবিশ বলেন, `নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বাংলাদেশে সম্ভবত কোনও বিভ্রান্তি রয়েছে। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে পূর্ববর্তী সরকারের জমানায়। সেদেশে সামরিক শাসন চলাকালে ও পূর্ববর্তী সরকারের জমানায় ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিভ্রান্তিগ্রস্ত হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের মতোই মজবুত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিলের পর সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার।
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে রবিশ বলেন, 'নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বাংলাদেশে সম্ভবত কোনও বিভ্রান্তি রয়েছে। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে পূর্ববর্তী সরকারের জমানায়। সেদেশে সামরিক শাসন চলাকালে ও পূর্ববর্তী সরকারের জমানায় ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।'
ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে, ৭ দিনেই শুরু হবে দেউচা-পাঁচমি কয়লাখনির কাজ : মমতা
বলে রাখি, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ৩ দিনের সফরে নয়া দিল্লি পৌঁছনোর কথা ছিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেনের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করেন তিনি। বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, সেদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ও বিদেশ সচিব দেশের বাইরে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর পালিত হবে বিজয় দিবস। মোমেন দেশ ছাড়লে ওই অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের কোনও শীর্ষ ব্য়ক্তিত্ব হাজির থাকতে পারবেন না। তাই শেষ মুহূর্তে সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত।
প্রাথমিক ভাবে সফর বাতিলের সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের যোগাযোগ রয়েছে বলে বাংলাদেশ স্বীকার না করলেও প্রশ্ন উঠছে, সেদেশের মন্ত্রী ও আমলাদের সফরসূচি তো পূর্ব নির্ধারিত ছিল। বিজয় দিবস পালন কর্মসূচিও পূর্ব নির্ধারিত। তার পরেও ভারত সফরে সম্মতি জানিয়েছিলেন আবদুল মোমেন। হঠাৎ শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করতে হল কেন?