বাস্তব মেনে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক পাকিস্তান: বিদেশমন্ত্রক
কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা পাকিস্তান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাস্তবতা স্বীকার করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকুক পাকিস্তান। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদ মুখ থুবড়ে পড়ার পর প্রতিক্রিয়া দিল বিদেশমন্ত্রক।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। এনিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, 'আমাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়া পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। ওদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলাম। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির ছবি তুলে ধরতেই এমন পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।' তিনি আরও বলেন,'বাস্তবতা মেনে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকুক পাকিস্তান।'
পাকিস্তানের আকাশপথ আংশিক বন্ধ করার ঘোষণা করেছে ইমরান খানের সরকার। রবীশ কুমার বলেন, 'আকাশপথ খোলাই রয়েছে। শুধুমাত্র রুটবদল করেছে পাকিস্তান।' বিদেশমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকের আগে জোধপুর-করাচি থর এক্সপ্রেস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় শেখ রশিদ আহমেদ।
কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পড়েছে পাকিস্তানের। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন,'১৯৭২-এর সিমলা চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। সেখানে তৃতীয় কারও মধ্যস্থতা করার কোনও জায়গা নেই। এই চুক্তি অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।'
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এনিয়ে নাক গলাবে তারা। তবে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলে মার্কিন সেনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটির সদস্য রবার্ট মেনেন্দেজ এবং হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়ট এঞ্জেলের যৌথ বিবৃতিতে জানান, ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের আগ্রাসন থেকে পাকিস্তানের দূরে থাকা উচিত। এর মধ্যে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া বন্ধ করা এবং দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ-দুটি বিষয়ই রয়েছে। এমনকি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশও পাকিস্তানের পাশে নেই। দূরত্ব বজায় রেখেছে তারা।