নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি মেট্রোয় মহিলাদের জন্য ফ্রি করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন ‘মেট্রো ম্যান’ শ্রীধরন। তিনি জানান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের এই সিদ্ধান্ত দিল্লি মেট্রোকে ‘দেউলিয়া’ করবে বলে দাবি করেন ওই সংস্থার প্রাক্তন প্রধান শ্রীধরন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শ্রীধরন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানান, দিল্লি সরকারের এই প্রস্তাব কোনওভাবে গৃহীত যাতে না হয়। তাঁর কথায়, ২০০২ সালে প্রথম মেট্রো চালু হয় দিল্লিতে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকেই টিকিট কেটে মেট্রো চড়বে। এই সিদ্ধান্তে খোদ সিলমোহর দিয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। তিনিও টিকিট কেটে মেট্রোয় চড়েছিলেন বলে জানান শ্রীধরন।


আরও পড়ুন- মানবিক হোন, চিকিত্সকদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতাকে চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর


শ্রীধরন আরও জানান, দিল্লির মেট্রোর মোট খরচের ৬৩ শতাংশ এসেছে জাপান থেকে। এবং ওই টাকা ফেরত্ দেওয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দিল্লি মেট্রো। এক সেকশনে ফ্রি ঘোষণা করা হলে পরবর্তীকালে পড়ুয়া, প্রবীণ, ক্যানসার আক্রান্ত রোগী এমনকি বিধায়ক ও সাংসদরাও দাবি জানাবেন। দিল্লি সরকারকে শ্রীধরন পরামর্শ দেন, মহিলাদের জন্য বিনা টিকিটে মেট্রো চড়ার সিদ্ধান্তের বদলে দিল্লি সরকারের কোষাগার থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিক। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দিল্লি মেট্রোর ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। তাঁকে দিল্লির মেট্রোর ‘রূপকার’ বলা হয় শ্রীধরনকে।


শ্রীধরনের এই দাবিকে খারিজ করে দেয় আম আদমি পার্টি। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, পরামর্শ দেওয়ার জন্য শ্রীধরনকে ধন্যবাদ। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য দিল্লি মেট্রোর এক টাকাও ক্ষতি হবে না। উল্লেখ্য, দিল্লি মেট্রো কেন্দ্র ও রাজ্যের অংশীদারিত্ব রয়েছে। কোনও প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন।