নিজস্ব প্রতিবেদন: মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। একাধিক দুর্ঘটনার পরও শিক্ষা নিল না মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অভিযোগ, একজন ব্যক্তিকে নিয়েই ছুটল ট্রেন। অথচ স্টেশনে থাকা রক্ষীরা খেয়ালই করলেন না। তাঁরা মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্টেশনের রক্ষীরা ব্যস্ত মোবাইলে
 
পার্কস্ট্রিট স্টেশনে ব্যস্ত সময়ে ট্রেন ধরতে গিয়ে দরজায় আটকে গেল যাত্রীর হাত। বাইরে গোটা দেহ। সেই অবস্থাতেই ছুটতে শুরু করল ট্রেন। অথচ স্টেশনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা খেয়ালই করলেন না। কী করছিলেন তাঁরা? ট্রেন আসা-যাওয়ার পথে তো তাঁদের নজরদারি চালানোর কথা। কিন্তু তখন কী করছিলেন রক্ষীরা? যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনে তো বেশিরভাগ সময়েই মোবাইল ফোন ঘাঁটতে ব্যস্ত থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা।


নজর এড়াল মোটরম্যানের


ট্রেনের দরজা বন্ধের পর উঁকি দিয়ে দেখেন মোটরম্যান। এরপরই সবুজ সঙ্কেত দেন। কিন্তু ব্যস্ত সময়ে একবারও দেখলেন না মোটরম্যান। কী করছিলেন তিনি? যাত্রীর হাত আটকে দরজায়। তখন সিগন্যাল দিয়ে দিল? প্রশ্নের মুখে মোটরম্যানের ভূমিকা। 


আপত্কালীন ব্যবস্থা


ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা সবরকমভাবে চেষ্টা করেছেন ট্রেন থামানোর। কিন্তু চালকের কাছে খবর পৌঁছতে পারেননি। আপত্কালীন বোতাম টিপেও সাড়া মেলেনি। এমনকি মেট্রোর হেল্পলাইনে ফোন করেছিলেন যাত্রীরা। সেখানে কেউ ফোনই তোলেনি বলে অভিযোগ। এর আগে আগুন লাগার ঘটনাতেও কাজ করেনি হেল্পলাইন। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল না মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। 


অত্যাধুনিক কোচের অকেজো সেন্সর 


কাজ করেনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক কোচের সেন্সর। মেট্রো কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, একটা কাগজও সনাক্ত করতে পারে সেন্সর। কিন্তু এক যাত্রীর হাত সেন্সর করতে পারল না স্বয়ংক্রিয় দরজা।               


মেট্রোর মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তদন্তের পর এবিষয়ে বলা সম্ভব। মোটরম্যানের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু প্রতিবারই কি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে দায় এড়িয়ে যেতে পারে মেট্রো? 


আরও পড়ুন- পার্কস্ট্রিটে মেট্রোর দরজায় আটকে গেল হাত, ছুটল ট্রেন, ভয়াবহ মৃত্যু যাত্রীর