নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর পাশে দাঁড়ালেন মিমি চক্রবর্তী। সপা সাংসদ আজম খানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্যে অধ্যক্ষের কাছে দরবার করলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার স্পিকারের চেয়ারে আসীন বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর উদ্দেশে  আপত্তিকর মন্তব্য করেন আজম খান। ওই মন্তব্যের জেরে আজম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে বিজেপি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কিন্তু আজমের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' শুধু বিজেপির গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকল না। রাজনৈতিক দূরত্ব ঘুঁচিয়ে মহিলা সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন মিমি চক্রবর্তী। লোকসভায় তিনি বলেন, 'গতকাল ঘটনায় সময় উপস্থিত ছিলাম। প্রথমবার সংসদে এসে দারুণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। সকলে সম্মান দিয়েছেন। সম্মান দিতে কেউ কার্পণ্য করেননি। এটাই বলতে চাই, এখনও আমার শেখার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে, সেটা শিখতে চাই না। রাজনৈতিক মতভেদ সরিয়ে রেখে আমাদের একজোট হতে হবে। সংসদে দাঁড়িয়ে একজন মহিলার উদ্দেশে কেউ বলতে পারে না, আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। আপনি কবিতা বলতেই পারেন, তবে এখানে যেতে বলেছেন, তা অসংসদীয়। এব্যাপারে স্পিকারের পদক্ষেপ চাইছেন সকল মহিলা সাংসদরা।' 



গতকাল লোকসভার অধিবেশনে আজমের একটি উর্দু কবিতা পাঠ ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। সপা সাংসদ বলেন,'তু ইধর-উধর কি ন বাত করস, এ বতা কৈ এ কাফিলা কিঁউ লুটা?' স্পিকারের চেয়ারে আসীন রমা দেবী তখন বলেন, আপনিও এদিকে তাকিয়ে কথা বলুন। তখনই আজম বিতর্কিত মন্তব্য করেন, 'আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে। ইচ্ছা হয়, আপনার চোখে চোখ রাখি'। পরে সাফাই দেন, রমা দেবী আমার ছোট বোনের মতো। এমনটা বলতে চাইনি'।


এদিন রমা দেবী বলেন,''মহিলাদের সম্মান যে তিনি করেন না এই উদাহরণ আগেও রয়েছে। আমরা জানি জয়াপ্রদা সম্পর্কে তিনি কী মন্তব্য করেছিলেন। অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।'' সপা সাংসদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন নির্মলা সীতারমন।


আজমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি জানিয়েছে, শীঘ্রই এব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।   


আরও পড়ুন- নজরে তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা', ডেরেককে তলব করল সিবিআই