নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যজুড়ে পালন হল প্রজাতন্ত্র দিবস। উত্তোলন হল পতাকা। ছিল কুচকাওয়াজ-রাজ্যপালের ভাষণ। প্রায় সবই। কিন্তু, চোখে পড়ল না সাধারণ মানুষের ভিড়। শুনশান রাস্তায়, ফাঁকা মাঠে শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগে মিজ়োরামে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে আজ রাজ্যজুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছিল এনজিও কো-অর্ডিনেশন কমিটি। যার ছাতার তলায় রয়েছে নাগরিক সমাজ, ছাত্র সংগঠন-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- প্রজাতন্ত্র দিবসে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে ল্যাজে-গোবরে কংগ্রেসের মন্ত্রী, দেখুন ভিডিও



শনিবার, মিজ়োরাম সরকারের তরফে প্রজাতন্ত্র অনুষ্ঠানের সবরকমের আয়োজন করা হয়। ৬ কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী-সহ ৩০ কোম্পানি পর্যন্ত অন্যান্য বাহিনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন মিজ়োরামের রাজ্যপাল কুম্মনম রাজাশেখরন। জেলা, ব্লক স্তরেও উত্তোলন করা হয় পতাকা। তবে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা। দু’দিন আগে চিনের সঙ্গে হাত মেলানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ইয়ং মিজ়ো অ্যাসোসিয়েশন, নেসো, এমজেডপি। ‘হ্যালো চায়না, বাই ইন্ডিয়ার’ পোস্টার দেখিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। দাবি তোলা, ভারত যদি তাদের সমস্যার কথা না ভাবে, তা হলে সাহয্য নেওয়া হবে চিনের।



আরও পড়ুন- আইএমএফ-র রিপোর্ট তুলে মোদী সরকারের প্রশংসা ‘ভারতরত্ন’ প্রণবের


এ দিন রাজ্যপাল কুম্মনম রাজাশেখরন তাঁর বক্তৃতায় আশ্বাস দেন, মিজ়োরামের সীমান্ত সমস্যা বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ভারতে বসবাসকারী সব মিজ়ো নাগরিকের ভাতৃত্ববোধ এবং ঐক্য আরও মজবুত করতে কাজ করবে সরকার। তাঁদের জীবন-জীবিকায় নয়া দিশা দেখাতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নীতি (এসইডিপি) আনা হচ্ছে বলে দাবি করেন মিজ়োরামের গভর্নর।