নিজস্ব প্রতিবেদন: আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব। এই যুক্তিতে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার দায় রাজ্যের ঘাড়েই চাপিয়ে দিলেন রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। সমালোচনায় সরব তৃণমূলও। গণপিটুনি নিয়ে বিরোধীরা সরব, উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। তবুও থামছে না ভুয়ো খবরে প্রাণহানি। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। বহু ক্ষেত্রেই আগাম টার্গেট ঠিক করে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গণপিটুনির বিষয়ে আলোচনায় বৃহস্পতিবার লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। তা গ্রহণ করেননি স্পিকার। জিরো আওয়ারে কংগ্রেস সাংসদ কে.সি. বেণুগোপাল বিষয়টি তোলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তার জবাবে বলেন, গণপিটুনি বন্ধে দু-বার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। ভুয়ো খবর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। বাকি দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এরপরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দায় এড়ানোর অভিযোগ তুলে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস।


তথ্য বলছে, গণপিটুনিতে গত ১৮ মাসে সারা দেশে প্রায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবারই কর্নাটকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন গুগলের কর্মী মহম্মদ আজম। গত মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে মার খেয়েছেন স্বামী অগ্নিবেশ। সেদিনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, গণপিটুনি বন্ধে নির্দিষ্ট আইন করুক সংসদ। অরাজকতা ঠেকাতে রাজ্যগুলিকে আরও সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। আরও পড়ুন- অমিতের এক ফোনেই মোদী সরকারে আস্থা জানাতে রাজি শিবসেনা


গণপিটুনির দায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ঘাড়ে ঠেলায়, অধিকাংশ রাজ্যই যে বিজেপি-র দখলে তা মনে করিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারই কর্নাটকের মান্ড্যে স্কুলবাসে থাকা নিজের ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মার খেয়েছেন মহেশ নামে এক যুবক। ফলে, অসুখ সারার কোনও লক্ষণ নেই বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আরও পড়ুন- এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় সিবিআই চার্জশিটে অভিযুক্ত সপুত্র পি চিদম্বরম