লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা দিতে পারে মোদী সরকার
সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে ২ মরশুমে প্রতি একর জমির জন্য কৃষককে ৪,০০০ টাকা করে দিতে চায় তারা। এজন্য তেলেঙ্গানা সরকারের রায়তুবন্ধু প্রকল্পের সাফল্যকে পাথেয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১ বছর ধরে তেলেঙ্গানায় লাগু রয়েছে এই প্রকল্প।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের বছর এলেই দেশের কৃষকদের কথা মনে পড়ে রাজনৈতিক দলগুলির। ২০১৯-এর নির্বাচনের আগেও তেমনই কিছু ঘটতে চলেছে। সূত্রের খবর, কৃষকদের ক্ষোভ দূর করতে এবার তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে পারে মোদী সরকার। সেক্ষেত্রে প্রতি একর জমি পিছু ৪,০০০ টাকা করে দেওয়া হতে পারে প্রতি কৃষককে।
সূত্রের খবর, কৃষকদের অবস্থায় উন্নতির জন্য ঋণমকুবের বিকল্প পথ খুঁজছিল কেন্দ্র। সেজন্য কৃষি মন্ত্রক ২টি উপায় বাতলেছে। প্রথমটি কৃষকদের ইউনিভার্সল বেসিক ইনকামের আওতায় আনা। যার ফলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা পড়বে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দ্বিতীয়টি, সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাউন্টে সরাসরি আগাম ভর্তুকির টাকা জমা করা। দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনটি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বেছে নেবে তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি।
রাফালের প্রথম যুদ্ধবিমান আসবে আগামী সেপ্টেম্বরেই, সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে ২ মরশুমে প্রতি একর জমির জন্য কৃষককে ৪,০০০ টাকা করে দিতে চায় তারা। এজন্য তেলেঙ্গানা সরকারের রায়তুবন্ধু প্রকল্পের সাফল্যকে পাথেয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১ বছর ধরে তেলেঙ্গানায় লাগু রয়েছে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের খারিফ ও রবি মরশুমে একর পিছু পান ৪,০০০ টাকা। সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে সেরাজ্যের শাসকদল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। উলটে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে হার হয়েছে বিজেপির। বিশেষজ্ঞদের মতে তেলেঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের জয়ের পিছনে রায়তুবন্ধু প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচনের আগে প্রতি হেক্টরে কৃষকদের করমুক্ত ফসলের সীমা ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করতে পারে সরকার।