আকাশেই ধ্বংস হবে ক্ষেপণাস্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিসাইল শিল্ড কিনছে ভারত
ভারত এতদিত তার আকাশসীমা প্রহরার জন্য রাশিয়ার ওপরেই নির্ভর করেছিল। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছে দিল্লি
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাবুন আপনি রয়েছেন রাজধানীর কোনও একটি জায়গায় আর মাথার ওপরে আকাশেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা ক্ষেপণাস্ত্র। ভবিষ্যতে এরকমটাই হতে চলেছে দিল্লিতে। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনছে মিসাইল শিল্ড।
আরও পড়ুন-মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতার 'রহস্যমৃত্যু', সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল দেহ
১৯৮০ সালে এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন রোনাল্ড রেগান। মনে করা হয় তাঁর মাথা থেকেই মিসাইল শিল্ড-এর মতো একটা ধারণা বের হয়। কারণ তাঁর সবসময় সন্দেহ ছিল এই বুঝি কোনও রুশ মিসাইল আছড়ে পড়বে ওয়াশিংটনের ওপরে।
মিসাইল শিল্ড টেকনোলজি সম্পর্কে সহজভাবে বলতে গেলে বাড়ির ছাদ যেভাবে মানুষকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচায় সেভাবেই মিসাইল শিল্ড-ও শত্রু মিসাইল থেকে যে কোনও শহরকে বাঁচায়। আকাশেই ধ্বংস করে দেয় কোনও হামলাকারী বিমান, মিসাইল, চালক বিহীন বিমানকে। আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এটাই এখন অন্যতম প্রধান অস্ত্র।
সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ওই মিসাইল শিল্ড সিস্টেম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এতে খরচ পড়বে ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী ওই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম পুরনো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বদলে কাজ করবে।
আরও পড়ুন-গর্ভবতী ছাগলকে ধর্ষণ! নারকীয় অত্যাচারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল পোষ্য
দুনিয়ার অধিকাংশ উন্নত দেশের হাতে রয়েছে এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। ইসরায়েল এই প্রতিরক্ষা পদ্ধতি কাজে লাগিয়েই হামাস জঙ্গিদের হামলা রুখে দিচ্ছে। এই ধরনের প্রতিরক্ষা পদ্ধতিতে খুব দ্রুত কোনও শত্রু বিমান, মিসাইল, ক্রুজ মিসাইস, চালক বিহীন বিমান চিহ্নিত করে ধ্বংস করা যায়।
আধুনিক ওই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দুনিয়ার মোট ৭টি দেশের হাতে ছিল। ২০০৫ সাল থেকে এটিকে কাজে লাগিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এখন তা রয়েছে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, স্পেন, নেদার ল্যান্ডস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রযুক্তি তৈরি করছে ওমানের জন্যও।
ভারত এতদিত তার আকাশসীমা প্রহরার জন্য রাশিয়ার ওপরেই নির্ভর করেছিল। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছে দিল্লি।