নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরস কাণ্ডে সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ঘটনায় কড়া ব্য়বস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই ফার্স্ট ট্রাক আদালতে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। গতরাতে পুলিসি জুলুমের অভিযোগে প্রবল চাপে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তড়িঘড়ি ৩ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে।




COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরস কাণ্ডে যেভাবে পরিবারের সম্মনতি ছাড়াই জোর করে নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পুলিস, তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। টুইটে তিনি লিখেছেন- "ভারতের এক কন্যাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হল। তথ্য ধামাচাপা দেওয়া হল। এবং সব শেষে নির্যাতিতার পরিবারের থেকে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হল। এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং অন্যায়ও।"


হাথরস কাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তো ছিলই। এবার চিকিত্‍সায় গাফিলতির অভিযোগ আনলেন নির্যাতিতা তরুণীর ভাই। হাথরস কাণ্ডে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তার মাঝেই নির্মমতার নয়া নজির পুলিসের। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে, মাঝরাতে জোর করে গ্রামে নিয়ে গিয়ে দায়সারা ভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পুলিস। সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পরিবারের কাউকে। উল্টে তাঁদের ওপর মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। কারণ তাঁদের শেষ ইচ্ছে ছিল, তরুণীর নিথর দেহ বাড়িতে এনে, যথাযথ সম্মানের সঙ্গে চিরবিদায় জানানো।


কিন্তু তেমনটা হল না। মৃত্যুর পরেও ন্যূনতম প্রাপ্য সম্মান জুটলো না নির্যাতিতা তরুণীর। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির সাফদারজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। দেহ ফেরত চেয়ে হাসপাতালের সামনে ধরনায় বসা নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার। রাতে উত্তরপ্রদেশের নম্বরপ্লেট যুক্ত একটি কালো রঙের স্করপিও গাড়িতে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় পুলিস। তার আগে তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বচসা হয়। পরিবারের দাবি, পুলিস দেহ হস্তান্তরের কথা বলে তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু কথা রাখল না পুলিস। প্রাপ্য সম্মান না পেয়েই চলে গেল হাথরাসের নির্যাতিতা তরুণী।