নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপুল জনমত নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর কার্যকর্তাদের মুখোমুখি হলেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে দাঁড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ঘোষণা, নরেন্দ্র মোদী বিজেপির এই মহাবিজয়ের মহানায়ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এদিন নিজের ভাষণে যেমন কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই এই সাফল্য বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর এটাই সবচেয়ে বড় জয়। তাই এটা সকলের জন্য গৌরবময় বলেই তিনি দাবি করেছেন।


আরও পড়ুন: বিপুল জয়ের পর 'চৌকিদার' বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী, কী ব্যাখ্যা দিলেন? 


প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। এনডিএ পেয়েছিল ৩০০-র বেশি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ২৮২টি আসন। যদিও এর পর একাধিক উপ-নির্বাচনে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। সব মিলিয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ২৭২-এ।


ফলে এবার জল্পনা ছিল বিজেপি কেমন ফল করে তার উপর। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের দাবি ছিল, শক্তি কমিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। মোদীর দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া অসম্ভব ছিল বলেই ওই মহলের দাবি ছিল।


আরও পড়ুন: বিপদ বুঝেই ওয়াইনাডে আশ্রয় রাহুলের, স্মৃতির ধাক্কায় চুরমার কংগ্রেসের গড় আমেঠি


কিন্তু সেই বিশ্লেষণকে ভুল প্রমাণ করে বিজেপি এবার আরও বেশি শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল। এনডিএ সাড়ে তিনশো আসন পেয়েছে। বিজেপি পার করে ফেলেছে ৩০০-র গণ্ডি। তাই এবারের জয়কে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।


তাঁর দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধানমন্ত্রী ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হলেন, এমনটা গত ৫০ বছরে হয়নি। তাছাড়া দেশের ১৭টি প্রান্তে বিজেপি ৫০ শতাংশ পেয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার গড়লেও সেখানেও বিজেপি অধিকাংশ আসন জিতে নিয়েছে।


আরও পড়ুন: অন্ধ্রে চন্দ্রগ্রহণ, অমরাবতীর মসনদে এবার জগন রাজ


এদিন দলের সদর দফতরে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, কংগ্রেসকে দেশের সাধারণ মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছেন। কংগ্রেসের দেশের অনেক রাজ্যে কংগ্রেস খাতা খুলতে পারেনি।


একই সঙ্গে সিকিমের পবন চামলিং ও অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্যদিকে কটাক্ষ করেছেন তেলগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নায়ডুকে। অমিত শাহর কটাক্ষ, চন্দ্রবাবু মোদীকে হারানোর জন্য যত পরিশ্রম করেছেন, ওই পরিমাণ পরিশ্রম ভোটে করলে অন্ধ্রপ্রদেশে ভালো ফল করতেন।


আরও পড়ুন: ভালবাসা দিয়ে দেখভাল করুক স্মৃতি, পরামর্শ হাত-ছাড়া অমেঠির সাংসদ রাহুলের


এদিকে অমিত শাহর মুখে এসেছে বাংলার কথা। তাঁর কথায়, বাংলায় অশান্তি, রিগিং সত্ত্বেও বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছে। আগামিদিনে বাংলায় আরও ভালো ফল করবে বিজেপি।