অন্ধ্রে চন্দ্রগ্রহণ, অমরাবতীর মসনদে এবার জগন রাজ
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগনকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অন্ধ্রপ্রদেশে পালাবদল। কয়েক দশক পর অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতা ছাড়া নারা চন্দ্রবাবু নায়ডুর। সে রাজ্যের রাজনীতির তরুণ তুর্কি জগন্মোহন রেড্ডির কাছে পরাস্ত হলেন। রাজ্যের ক্ষমতা তো হাতছাড়া হলই। একই সঙ্গে সংসদেও তেলগু দেশম পার্টিকে পর্যদুস্ত করে বিপুল সাফল্য পেল জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস।
অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৭৫। জগনের দল এখনও পর্যন্ত ১৪৭টি আসনে এগিয়ে। টিডিপি এগিয়ে মাত্র ২৭টি আসনে। জনসেনা পার্টি একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ফলে অন্ধ্র বিধানসভায় প্রায় দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিততে চলেছেন জগন।
আরও পড়ুন: ভালবাসা দিয়ে দেখভাল করুক স্মৃতি, পরামর্শ হাত-ছাড়া অমেঠির সাংসদ রাহুলের
তাই তিনিই যে অন্ধ্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা নিয়ে আরও কোনও ধোঁয়াশা নেই। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগনকে। দলের এক নেতা জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মে মাসের ৩০ তারিখ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার আসন ২৫। এর মধ্যে ২২টি আসনেই জিতে গিয়েছে জগনের দল। ফলে এবার লোকসভাতেও ভালো জায়গা করে নিলেন তিনি। জাতীয় রাজনীতিতে আরও একজন আঞ্চলিক নেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করলেন।
আরও পড়ুন: গেরুয়া ঝড় তীব্র হতেই টুইট ইমরানের, সম্পর্কের বরফ গলাতে বার্তা পাক প্রধানমন্ত্রীর
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য়, কংগ্রেস নেতা ওয়াই রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পর যে লড়াই শুরু করেছিলেন জগন, এদিন তাই পূর্ণতা পেল। কারণ, রাজশেখরের আকস্মিক প্রয়াণে অন্ধ্রপ্রদেশে অনেকে আত্মঘাতী হন। কেউ কেউ তো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাবার প্রয়াণের ছ’মাস পর সেই সব সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করে সমবেদনা জানানোর কর্মসূচি নেন। কিন্তু সেই কর্মসূচি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্থগিত করতে বলে। কিন্তু তা শোনেননি।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত কুত্সার রাজনীতির বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছে মানুষ, দলের বিপুল সাফল্যে মন্তব্য অমিত শাহর
বরং তিনি ওই কর্মসূচিকে ব্যক্তিগত বলে দাবি করেন। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বেরিয়ে গড়ে তোলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস। উপনির্বাচনে ব্যাপক মার্জিনে জিতে বিধায়ক হন। তার পর নানা ওঠা-পড়া ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবনে। ২৩ মে, ২০১৯-এ পূর্ণ সেই বৃত্তি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলি লোকসভা ভোটের আগে থেকেই জোট বাঁধছিল। আঞ্চলিক দলগুলি একসঙ্গে এবার সরকার গড়বে বলে ওই জোটের নেতারা দাবি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিষেকেই পরাজয়, বিজেপির গিরিরাজের কাছে ৪ লক্ষ ভোটে পর্যুদস্ত কানহাইয়া
সেই আঞ্চলিক জোটের অন্যতম মুখ ছিলেন টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। কিন্তু তিনিই এবারের নির্বাচনে কোনও দাগই কাটতে পারলেন না। লোকসভায় তো শক্তি কমল তাঁর দলের। একই সঙ্গে রাজ্যের ক্ষমতাও হারাতে হল তাঁকে।