ভিডিয়ো: জঙ্গলে জিপ থেকে পড়ে গেল কোলের শিশু, বাড়ি ফিরে ঘুম ভাঙল মা-বাবার
জঙ্গলের বুক চিরে ছুটে চলেছে জিপ। আর তাতে ঘুমে আচ্ছন্ন মহিলা। কখন যে কোল থেকে পড়ে গেল ১৩ মাসের শিশুকন্যা, খেয়ালই নেই তাঁর। হুঁশ ফিরল প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর। ততক্ষণে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। যদিও ভাগ্য়ক্রমে আবার মায়ের কোলেই ফিরে গিয়েছে শিশুটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জঙ্গলের বুক চিরে ছুটে চলেছে জিপ। আর তাতে ঘুমে আচ্ছন্ন মহিলা। কখন যে কোল থেকে পড়ে গেল ১৩ মাসের শিশুকন্যা, খেয়ালই নেই তাঁর। হুঁশ ফিরল প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর। ততক্ষণে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। যদিও ভাগ্য়ক্রমে আবার মায়ের কোলেই ফিরে গিয়েছে শিশুটি।
সোমবার এমনটাই ঘটল তামিলনাড়ুর মুন্নারে। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০টা। গভীর জঙ্গল থেকে ভেসে আসছে বন্য প্রাণীদের ডাক। জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়া চেক পোস্টে ডিউটি করছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। এমন সময়ে হঠাত্ই দেখেন অন্ধকার রাস্তা দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসছে একটি ছোট্ট ফুটফুটে শিশু। প্রথমে নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি তাঁরা। সম্বিত ফিরতেই শিশুটির দিকে ছুটে যান তাঁরা। মুন্নার বন দফতরের ওয়ার্ডেন আর. লক্ষীর কথায়, "প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ জঙ্গলে বাচ্চা ফেলে দিয়ে গিয়েছে নিশ্চই।" সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ও উপরওয়ালাদের খবর দেন তাঁরা। চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে কপালে ছড়ে গিয়েছিল শিশুটির। পুলিসের উদ্যোগেই শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই তার প্রাথমিক সুশ্রষার ব্যবস্থা করা হয়।
জঙ্গলের ভিতরে ১ বছরের শিশু এল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই চেক পোস্টের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেখানেই চল্ন্ত জিপ থেকে পড়তে দেখা যায় শিশুটিকে। জিপ থেকে পড়েই হামাগুড়ি দিতে শুরু করে সে। এগিয়ে যায় চেক পোস্টের আলোর দিকে।
এদিকে শিশু কোল থেকে পড়ে গেলেও কোনও খেয়াল ছিল না মায়ের। শিশুটি যেখানে পড়ে যায়, সেখান থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি। বাড়ি পৌঁছেই শিশুটির মা-বাবার টনক নড়ে। তিন সন্তানের এক জনকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! সঙ্গে সঙ্গে রাজামালায় স্থানীয় থানায় ছুটে যান তাঁরা। সেখানেই তাঁদের মুন্নারে শিশু খুঁজে পাওয়ার কথা জানান পুলিসকর্মীরা। এর পর মুন্নার থানায় যান শিশুটির মা-বাবা। সেখানেই যাচাই করার পর তাঁদের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আড়াই বছরের শিশুকে গুলি করে বেপাত্তা, সোপরে গুলির লড়াইয়ে খতম লস্কর জঙ্গি আসিফ
তামিলনাড়ুর রোহিতায় মুরুগান মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন ওই দম্পতি। ঘন মুন্নারের জঙ্গলে হাতি, শিয়াল, চিতা বাঘ, বুনো কুকুরের বাস। বন দফতরের কর্মীরা না থাকলে যে কী হত, তাই ভেবে শিউরে উঠছেন তাঁরা। শিশুটির বাবা জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ নেন তাঁর স্ত্রী। তাই ঘুমের মধ্য়ে কখন শিশুটি পড়ে গিয়েছে, বুঝতে পারেননি।