নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্ত হয়েছেন খোদ অমিত শাহ। দেশের ১০ রাজ্যে সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। আর প্রধানমন্ত্রী বারবারই বলছেন 'দো গজ কি দুরি'। এরকম এক পরিস্থিতিতে বসছে সংসদের বাদল অধিবেশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সংঘাত চরমে! রাজভবনের গোপন তথ্য কীভাবে পৌঁছলো? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রাজ্যপালের


এই অধিবেশনে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া হচ্ছে একাধিক বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। দূরত্ব বজায় রেখে সাংসদরা যাতে কাজ করতে পারেন তার জন্য সংসদ ভবনের ভেতরে বসানো হচ্ছে ৪টি ৮৫ ইঞ্চি স্ক্রিন। এছাড়াও ৪টি গ্যালারিতে থাকছে ৪টি ৪০ ইঞ্চির স্ক্রিন। সবকটি স্ক্রিনেই সম্প্রচার করা হবে লাইভ ডিবেট। এছাড়াও স্যানিটাইজড করতে রাজ্যসভায় আল্ট্রা ভায়োলেট ইরর্যাডিয়েশন সিস্টেম বসানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


সূত্রের খবর সাংসদদের আসন বিন্যাসেও এবার বদল আনা হচ্ছে। কয়েকটি দলকে এবার হয়তো রাজ্যসভার গ্যালারিতেও বসতে হতে পারে। এছাড়াও লোকসভায় দুটি ব্লকে থাকবে শাসক দল ও শক্তি অনুযায়ী অন্য দলগুলি।


লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী নেতার আসন সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচডি দেবগৌড়ার আসনও সংরক্ষিত থাকবে। সূত্রের খবর, লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রতিদিন অধিবেশন হবে মাত্র ৪ ঘণ্টা।


আরও পড়ুন-'স্বাধীন ভারত, অমর রহে' মন্তব্য দিলীপের, ব্যাখ্যা ধনখড়ের


সংসদের আধিকারিক ও সাংবাদমাধ্যমও যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাত্র ১৫ জন করে ওই দুই ক্ষেত্রের লোকজন বসার জায়গা পাবেন। এমনও শোনা যাচ্ছে মাত্র ৭ জন সাংবাদিককে বাদল অধিবেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে। অধিবেশন চলাকালীন প্রাক্তন সাংসদের সেন্ট্রাল হলে ঢোকার পাস দেওয়া হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভা টিভিতে অধিবেশনের লাইভ  সম্প্রচার করা হবে।


উল্লেখ্য, করোনার কারণে বাজেট অধিবেশেন মুলতুবি হয়েছে যায় ২৩ মার্চ।  পরবর্তি অধিবেশন বসতে হবে ৬ মাসের মধ্যে। ফলে ২৩ সেপ্টেম্বরের আগেই শুরু হবে বাদল অধিবেশন। তারই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।