ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। জাতীয় কর্মসমিতির রাজনৈতিক দলিলে আলাদা অনুচ্ছেদ বরাদ্দ করা হল এই রাজ্যের জন্য। রাজ্যজুড়ে বিজেপি দফতরে হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ওই দলিলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রাজ্য। এই একটি কারণেই পশ্চিমবঙ্গ সংঘ ও বিজেপির কাছে স্পেশাল। ভাগীরথীর তীরের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে নাগপুরের আবেগ। রাজ্য বিজেপিকে সাংগঠনিক বরাদ্দ দিতেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরাবরই উদারহস্ত। কিন্তু, বহু চেষ্টাতেও সুজলাসুফলা বঙ্গভূমে জমিয়ে পদ্মচাষ করা যাচ্ছে না। কেন?


সংগঠনের অভাব এবং নেতাদের নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি। বাংলায় বারবার ব্যর্থতার জন্য এই কারণকেই তুলে ধরেন দিল্লির নেতারা। এমনকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করতে গিয়ে ধমকও খেয়েছেন কলকাতার নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার নালিশ জানাতে গিয়েও জুটেছে তিরস্কার।   


আরও পড়ুন- লালুকে মেঝেতে বসতে দেওয়ায় দলে বিক্ষোভ


কেন্দ্র কথা শোনে না। রাজ্য বিজেপি নেতাদের এই অভিমান অনেকদিনের। এবার বোধহয় তাদের মানভঞ্জনের পালা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে বিজেপি কার্যালয়ে হামলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির রাজনৈতিক দলিলে দু'দুটি প্যারাগ্রাফ বরাদ্দ হল রাজ্যের দুর্দশা নিয়ে।


দলিলে বলা হয়েছে, বাংলায় তৃণমূলের সন্ত্রাস শাসনে দলের দৈনন্দিন কাজকর্ম করাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। কলকাতা ও রাজ্যের অন্যত্র বিজেপি দফতরে হামলা শাসক তৃণমূলের উগ্র এবং চূড়ান্ত রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতাকেই প্রমাণ করে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অপরাধের রমরমার সময় পুলিস এবং প্রশাসনও নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।


শুধু তাই নয়। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে রীতিমতো নিন্দা করা হয়েছে। দলিলে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের তোষণমূলক রাজনীতির ফলে সাম্প্রদায়িক অশান্তির চরম বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটানো অপরাধীদের পালানোর সুবিধা করে দিতে সরকারি ব্যবস্থার অপব্যবহার করা হয়েছে।  


আরও পড়ুন- পুলিসকর্মীর হাতে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের জুতো


শনিবার দলের অর্থনৈতিক দলিলেও স্থান পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। নোটবাতিলের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে বিশেষ ইঙ্গিত থাকবে সেই দলিলে।