সিংঘু সীমান্তে ৩০০-র বেশি কৃষক অসুস্থ, করোনা টেস্ট-এ রাজি নন একজনও
আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, করোনা টেস্টের নামে প্রশাসন তাদের বিক্ষোভে জল ঢালার চেষ্টা করতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- রাজধানী দিল্লিতে আরো একবার করোনা সংক্রমনের হার বেড়েছে। এদিকে সিংঘু সীমান্তে তিনশোর বেশি আন্দোলনরত কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রশাসনের তরফে তাদের করোনা টেস্ট করানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তবে একজন কৃষকও করোনা টেস্ট করাতে রাজি নন। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে রয়েছেন কৃষকরা।
আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, করোনা টেস্টের নামে প্রশাসন তাদের বিক্ষোভে জল ঢালার চেষ্টা করতে পারে। দিল্লির প্রশাসন অবশ্য কৃষকদের শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছেন কয়েক লাখ কৃষক। তাঁদের আন্দোলন আজ দশ দিনে পড়ল। জানা যাচ্ছে, টিক্রি, চিল্লা, গাজীপুর সীমান্তেও বহু কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে সিংঘু সীমান্তে সব থেকে বেশি সংখ্যক কৃষক অসুস্থ। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই জ্বরে ভুগছেন। অনেকেই সর্দি-কাশিতে জেরবার। কৃষকদের বক্তব্য, শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থাকাতেই তাঁদের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ''বড়দিনে হই-হুল্লোড় করলে, গির্জায় গেলে মার খেতে হবে'', হিন্দুদের হুমকি বজরং দলের
কৃষক সংগঠনের কয়েকজন দাবি করেছেন, করোনা টেস্ট করাতে নিয়ে গিয়ে প্রশাসন হয়তো নকল রিপোর্ট হাতে ধরিয়ে দেবে তাঁদের। তারপর ১৪ দিনের জন্য তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের এই আন্দোলন মাঠে মারা যাবে। তাই তাঁরা কোনোভাবেই টেস্ট করাতে যেতে রাজি নন। এদিকে, দিল্লি সরকার জানিয়েছে, টেস্ট করাবে তারা। কেন্দ্রীয় সরকারের এখানে কোনো ভূমিকা নেই। তাই কৃষকদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দিল্লি প্রশাসন আরও জানিয়েছে, আন্দোলনরত কৃষকদের বেশিরভাগই মাস্ক পরছেন না। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। ফলে তাঁদের মধ্যে একজনও যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তা হলে সংক্রমণ ছড়াবে খুবই দ্রুত। তাই ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।