ওয়েব ডেস্ক: কিছুদিন আগে ছোট্ট ছোট্ট চারটে সন্তানের জন্ম দিয়েছিল একটি কুকুর। কিন্তু জন্ম দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কুকুরটি মারা যায়। মা-হারা বাচ্চাগুলো অনাথ হয়ে পড়ে। তাদের দেখার কেউ নেই। সেই সময়ে তাদের দেখাশোনার ভার নেন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। কিন্তু এলাকার আশেপাশের লোকেদের সেটা খুব একটা পছন্দ ছিল না। এক ব্যক্তি পুরসভায় খবর দেয় কুকুর ছানাগুলিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের বাধা দেন ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ে। খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় পুরসভার লোকেদের। ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে ওই ব্যক্তি মহিলা ও তাঁর মেয়েকে ব্যাপক মারধর করা শুরু করে। এমনকি তাঁদের জুতো দিয়ে পর্যন্ত মারে। ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন রাগী মানুষের বুকে ফল্গু নদীও বয় বোঝার জন্য এটা ভালো উদাহরণ


অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পুণেতে। কোথরাড থানার ইনস্পেক্টর রাধিকা ফাড়াকে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, পুরসভার লোকেরা যখন কুকুর ছানাগুলিকে নিয়ে যেতে আসে, তখন ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়ে তাঁদের বাধা দেন। অনুরোধ করে বলেন যে, বাচ্চাগুলি মাত্র ২মাসের। অনুরোধের ফলে তাঁরা ফিরে যান। পরক্ষণেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ৪৫ বছর বয়সী মিলিন্দ কেল নামে ওই ব্যক্তি ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে জুতো দিয়ে মারধর শুরু করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৩২৫ ধারায় মর্মান্তিক আঘাত, ৩৫৪ ধারায় নারী নিগ্রহ এবং ৫০৬ ধারায় হুমকির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এবং তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। দেখুন সেই ভিডিও।