নিজস্ব প্রতিবেদন- রোজ দুজন মানুষ ছুটে যাচ্ছেন দিল্লির বিমানবন্দরে। বিমান আসছে। সেই বিমানের কন্টেইনার থেকে দুধের বোতল সংগ্রহ করে তাঁরা ছুট লাগাচ্ছেন হাসপাতালে। হাসপাতালে মায়ের দুধের জন্য অপেক্ষা করছে ছোট্ট শিশু। প্রায় এক মাস ধরে এভাবেই চলছে। ৩৩ বছর বয়সী জিকমেট ওয়াঙ্গদুস ও তাঁর এক আত্মীয় রোজ রুটিন ধরে এই কাজ করছেন। সেই শিশুর জন্য মায়ের দুধ আসছে হাজার কিমি রাস্তা পেরিয়ে। সেই দুধের বোতল বাচ্চাটির কাছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মায়ের দুধ আসছে লেহ থেকে। সেই দুধ পৌঁছতে হচ্ছে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি নবজাতকের কাছে। জিকমেট ওয়াঙ্গদুসের স্ত্রী দোরজে পালমো গত ১৬ জুন লেহের সোনম নুরবু মেমোরিয়াল হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পরই সেই সন্তান মায়ের দুধ পান করতে পারছিল না। চিকিত্সকরা জানান, শিশুটির শরীরে কিছু একটা অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু লেহতে তা পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব নয়। তাই শিশুটিকে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। এর পরই দোরজে পালমোকে লেহের হাসপাতালে রেখে শিশুটিকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন তার মামা।  শিশুটির বাবা জিকমেট ওয়াঙ্গদুস মাইসোরে একটি এডুকেশন ইনস্টিটিউটে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনিও সেখান থেকে বিমানে চলে আসেন দিল্লি।


আরও পড়ুন-  অসুস্থ বাবা শুয়ে, স্ট্রেচার ঠেলছে ছোট্ট ছেলে! সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এক ছবিতে পরিষ্কার


দিল্লির হাসপাতালে পরীক্ষার পর চিকিত্সকরা জানান, বাচ্চাটির খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী একসঙ্গে জুড়ে রয়েছে। অস্ত্রোপচার করে আলাদা করতে হবে। চারদিনের শিশুটির শরীরে জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। তিন দিন ধরে নলের মাধ্যমে শিশুটিকে খাওয়ানো হচ্ছিল। এর পর চিকিত্সকা জানান, শিশুটিকে মায়ের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। কিন্তু তার মা লেহ থেকে আসতে পারছিলেন না। এই সময় এগিয়ে আসে একটি বিমান পরিবহণ সংস্থা। তারাই প্রতিদিন মায়ের দুধ রাখা বোতলগুলি লেহ থেকে দিল্লিতে পৌঁছে দিচ্ছে। আর এই কাজটি তারা করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।