নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখে ভারত ও চিন সংঘর্ষের দরুন সোমবার রাতে শহিদ হয়েছেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। শহিদ হওয়ার ঠিক আগের দিন কর্নেল কথা বলেছিলেন তাঁর মায়ের সঙ্গে।
যে ২০ জন শহিদ হয়েছেন তার মধ্যে ছিলেন তেলেঙ্গানার কর্নেল সন্তোষ বাবু, তামিলনাড়ুর হাভিলদার পালানি ও ঝাড়খন্ডের সেপয় ওঝা। কর্নেল সন্তোষ বাবুর স্ত্রী, কন্যা ও পুত্র দিল্লিতে থাকেন। নিজেদের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন কর্নেলের বাবা বি উপেন্দ্র ও মা মন্জুলা।
উপেন্দ্র বাবু জানাচ্ছেন, প্রথমে তাঁরা বিশ্বাস করেননি। পরে সেনার তরফে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়। প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী উপেন্দ্র বাবু চেয়েছিলেন সেনায় যোগ দেবেন। কিন্তু তা হয়নি তাই নিজের ছেলেকে পাঠিয়ে ছিলেন ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'এনাফ ইজ এনাফ! প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? কেন লুকোচ্ছেন তিনি?' বিস্ফোরক টুইট রাহুল গান্ধীর


রবিবার মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় সীমান্তে উত্তেজনার কথা বললেও আলোচনা করতে চাননি ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার সন্তোষ বাবু। বাবা বলেছিলেন নিজের যত্ন নিতে।
তবে ছেলের শহিদ হওয়ার বিষয়ে মা মন্জুলা বলেছেন,"আমি দু:খী এবং গর্বিত। আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। মা হিসেবে আমার কষ্ট হচ্ছে। সে আমার একমাত্র ছেলে ছিল।"
২০০৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টিং ছিল সন্তোষ বাবুর। এমনটাই জানিয়েছেন কর্নেলের বাবা।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়েছেন, কোনও মূল্য দিয়ে এই আত্মত্যাগের কৃতজ্ঞতা বোঝানো যায় না। সরকার তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে।