নিজস্ব প্রতিবেদন: এমআরপি ধার্য করতে হবে জিএসটি-কে অন্তর্ভুক্ত করেই। অর্থাত্, কোনও দ্রব্যের উপর যে 'ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস' (এমআরপি) লেখা থাকে তার উপর আর আলাদা করে জিএসটি আদায় করা যাবে না, এমআরপির মধ্যেই ধরা থাকবে জিএসটি। জিএসটি কাউন্সিলের কাছে এমনটাই সুপারিশ করল বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী। অসমের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠী আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এমআরপি আদতে কোনও দ্রব্যের খুচরো বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দাম। তাই, এমআরপির উপর অন্য কোনও প্রকার কর (যেমন, জিএসটি) চাপিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।


ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা হবে না বলেও দাবি করা হয়েছে এই মন্ত্রিগোষ্ঠীর তরফে। তাদের মতে, ব্যবসায়ীরা সরকারকে কর দেওয়ার সময় জিনিসের দাম ও জিএসটি আলাদাভাবে উল্লেখ করতে পারবে। মূলত ভোগ্যপণ্যের এমআরপির উপর আলাদা করে জিএসটি ধার্য করার অভিযোগ উঠছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তাই এমন সুপারিশ বলে মত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই  মন্ত্রিগোষ্ঠীর। উল্লেখ্য, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় যেসব প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় বিক্রি হয় তার উপরও একই পদ্ধতিতে জিএসটি-সহ এমআরপি ধার্য করতে হবে। আগামী ১০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বাধীন জিএসটি কাউন্সিলের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানেই এই সুপারিশ গৃহীত হতে পারে বলে খবর সূত্রের।