নভেম্বরে যোগদানের পর বিজেপিতে প্রোমোশন মুকুল রায়ের, দিল্লির সুনজরে জয়ও
আগামী ১৭-১৮ অগস্ট দিল্লিতে বিজেপির কার্যকরী কমিটির বৈঠক। তার আগে মুকুল রায়ের অন্তর্ভূক্তি যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অঞ্জন রায়
নভেম্বরে যোগদানের পর বিজেপিতে প্রোমোশন পেলেন মুকুল রায়। বাংলা থেকে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য হলেন মুকুল রায়। তবে চমক রয়েছে অন্য জায়গায়। মুকুলের সঙ্গে এই কমিটিতে জায়গা পেলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই কমিটিতে পদাধিকার বলে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া অরুণ হালদার, কমল বেরিওয়াল ও গৌরি সরকারও কমিটির সদস্য। এদের সঙ্গে যুক্ত হলেন মকুল ও জয়।
আগামী ১৭-১৮ অগস্ট দিল্লিতে বিজেপির কার্যকরী কমিটির বৈঠক। তার আগে মুকুল রায়ের অন্তর্ভূক্তি যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নভেম্বরে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের পর মুরলিধর স্ট্রিটে আলাদা ঘর পেয়েছেন মুকুল রায়। পঞ্চায়েত ভোটের বিজেপির রণকৌশলের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। তবে আনুষ্ঠানিক কোনও পদ বিজেপিতে পাননি মুকুল। এনিয়ে মুকুলকে খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'ওই দলে এত সহজে নেতা হওয়া যায় না'।
সূত্রের খবর, শুধু কার্যকরী কমিটিতে অন্তর্ভূক্তিই নয়, বরং এবার পদও পেতে চলেছেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বাংলা জয়ে মুকুল রায়ের মতো অভিজ্ঞ নেতাকে দিল্লি নেতৃত্ব যে গুরুত্ব দিতে চাইছে, তা স্পষ্ট।
মুকুল রায়ের সঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রোমোশন বেশ চমকে দেওয়ার মতো। লোকসভা ও বিধানসভায় হেরেছেন জয়। এর মধ্যে তিনি এমন কিছুই করেননি যাতে সুযোগ পেতে পারেন। ফলে কী কারণে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যকরী কমিটির সদস্য করা হল, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই। শোনা যাচ্ছে, দিওয়ালির পরই পুরোদমে নেমে পড়বে বিজেপি। ইতিমধ্যেই কৃষক, পড়ুয়া-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে ভিডিও বার্তালাপ করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা-কংগ্রেস মহাজোটের কথা প্রায় চূড়ান্ত। ফলে উত্তরপ্রদেশের গতবারের চেয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গোবলয়ের খামতি পূ্র্ব ও উত্তর-পূর্বে পুষিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে জোর দিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে রাজ্য ঘুরে গিয়েছেন অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী। ১১ অগস্ট কলকাতায় দলের যুবমোর্চার সভায় ফের আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এতেই ইঙ্গিত মিলছে, বাংলাকে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপির দিল্লি নেতারা।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে মোদীকে রুখতে চূড়ান্ত সপা-বসপা-কংগ্রেসের মহাজোট