নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে বড্ড ভুল হয়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে এসে স্বীকার করে নিলেন মুকুল রায়। দিল্লিতে বিজেপি নেতার স্বীকারোক্তি, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়ে ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা। কৃষকদেরও লাভ হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন মুকুল রায়। তখনই তিনিই তৃণমূলের চাণক্য। এখন গেরুয়া শিবিরে এসে মতবদল করলেন মুকুল রায়। বললেন, তৃণমূলে থাকার সময়ে সিঙ্গুরে টাটাদের বিরোধিতা করেছিলাম। আন্দোলনটা ভুল ছিল বলে মনে করি। শিল্পের তো নয়ই, কৃষকদেরও লাভ হয়নি। এত বছর পরে বলছি ভুল করেছিলাম। টাটাদের রাজ্য ছাড়াটা ঠিক হয়নি। এর জেরে বাংলার শিল্প সম্ভাবনা ধাক্কা খেয়েছিল। টাটাদের কারখানাটা ওখানে হলে আরও শিল্পসংস্থা আসত বাংলায়। চাকরির সুযোগ তৈরি হত। বেকারত্ব কমত। 
             
মুকুল রায়ের মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,''উনি সুবিধাবাদী। রাজনৈতিক কারণে এখন ভুল দেখছেন। কৃষকদের জমি হরণের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন''।       



বাম জমানায় এক সাংসদের দল থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলার ক্ষমতায় আসতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুঘটকের কাজ করেছিল নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে সিঙ্গুরে কৃষি জমি বাঁচাতে মমতার আন্দোলনে টলে গিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টচার্যের সরকার। ২০০৯ সালে সিপিএমকে হারিয়ে হুগলি জয় করেছিল তৃণমূল। তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তখন বারবার বলেছিলেন,''কলেজ-আইটিআই থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে প্রতিবছর পাশ করে বেরোচ্ছে। তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। হাওয়ায় তো আর শিল্প হবে না''।   


সেই হুগলিতেই এবার পদ্ম ফুটিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকি সিঙ্গুরেও লিড নিয়েছে বিজেপি। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক দলের। সেটা হুগলি জেলা নেতৃত্বের বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর জয়ের পর লকেট চট্টোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, টাটাদের সিঙ্গুরে ফিরিয়ে আনবেন। 


আরও পড়ুন- বসিরহাটের সাংসদ কোথায়? আড়ালে থেকে শান্তিবার্তা দিয়ে কাজ সারলেন নুসরত