নিজস্ব প্রতিবেদন- রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখার নেশা তাঁর। কখনও মির্জাপুর, কখনও আবার আশ্রম-এর মতো ওয়েব সিরিজ। আর সেগুলো রাত জেগে দেখতেই ভালবাসে কুণাল মোহিত। তাঁর বক্তব্য, সারা দিন কাজের পর রাতে একা শুয়ে ওয়েব সিরিজ দেখার মজাই আলাদা। কিন্তু তাঁর এমন অভ্যেস নিয়ে এতদিন প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল বাড়ির লোক। এত রাত জাগলে তো শরীর অসুস্থ হতে পারে! কুণাল অবশ্য সেসব কথা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়েছেন বরাবর। তবে এবার তাঁর এমন অভ্যাস নিয়ে আর কথা বলবে না বাড়ির লোকজন। আর সেটা নিশ্চিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুম্বইয়ের ডোম্বিবলির যুবক কুণালের এই স্বভাব ৭৫ জন মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিল। কুণাল রাত জেগে ওয়েব সিরিজ না দেখলে এই ৭৫ জন এতক্ষণে নিথর অবস্থায় ধ্বংসস্তুপের নিচে শুয়ে থাকতেন। ডোম্বিবলিতে একটি দোতলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু কপালজোরে বাড়িতে থাকা ৭৫ জনই সময় থাকতে নিরাপদ জায়গায় বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। আর সেটা হয়েছে কুণালের জন্য। ১৮ বছর বয়সী কুণাল প্রায় রোজও রাত দুটো পর্যন্ত ওয়েব সিরিজ দেখেন। কিন্তু এদিন তাঁর ঘুম না আসায় ভোর চারটে পর্যন্ত ওয়েব সিরিজ দেখছিলেন কুণাল। আর ভোর রাতে তিনি আচমকাই ভয়ানক আওয়াজ শুনতে পান। তার পরই গিয়ে দেখেন, তাঁদের বাড়ির রান্না ঘরের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি।


আরও পড়ুন-  জয় জওয়ান...! ১৭,৯৮২ ফিট উঁচু থেকে ঝাঁপ দুই সেনা অফিসারের, শূন্যে ভাসল তেরঙা


বাড়িত থাকা প্রতিটি পরিবারের লোকজনদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন কুণাল। সবাই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আস্ত ইমারত। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। মাসদুয়েক আগেই কর্পোরেশন-র তরফে ওই বাড়ি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও বাড়ি ছেড়ে কেউ যাননি। এমনকী মেরামতের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাড়ির লোকজনদের দাবি ছিল, তাঁরা সবাই দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। তাঁদের অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করার সামর্থ নেই।