ওয়েব ডেস্ক: এমন 'কয়েদি', যাদের ধরতে হিমশিম খেয়েছে গোটা জেলখানা। সুপার থেকে শুরু করে জেলের সব কয়েদি, রাতের পর রাত বিনিদ্র কাটিয়েছে কেবল তাদের ভয়ে। কখন কোথায় কীভাবে পাওয়া যাবে তাদের, তা খোঁজ করতে গিয়ে হয়রান হয়েছে জেল আধিকারিক থেকে কর্মীরা। এখন প্রশ্ন কারা এই কয়েদি, যাদের উৎপাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত জেল বাসিন্দাদের? উত্তর, দুই পাইথন। হ্যাঁ, মুম্বইয়ের তলোজা সংশোধনাগার, যেখানে ২০০০ আসামীর সঙ্গে 'কয়েদি' হয়েই দিন কাটাচ্ছে দুই পাইথন। বিগত ১৫ দিনের প্রাণপণ চেষ্টার পর উদ্ধার করা হয়েছে ওই দুই পাইথনকে। খোঁজ চলছে এমন আরও জেল বাসিন্দাদের, যার মানুষ নন, সরীসৃপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩৫ বছর বয়সী জেল গার্ড রাজু পোরে যিনি ওই দুই পাইথনকে ধরেছেন তাঁর মন্তব্য, "২০১২ সালে সাপের কামড়েই প্রাণ হারায় এক জেল আধিকারিকের ১০ বছরের মেয়ে। ওই ঘটনাই প্রথম আমাদের ঘুম ভাঙায়। এরপর অন্তত ৫০০ সাপ আমরা উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে ছিল পাইথন, ইন্ডিয়ান কোবরা, ধামিন, গোনারের মত বিষাক্ত সাপ। এই বছরই উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি সাপ"। জেলের ভিতর একটি ছোট্ট জঙ্গল থাকার কারণেই উপদ্রব বেড়েছে সাপের, এমনই অভিযোগ জেল আধিকারিকদের একাংশের। তাদের আরও অভিযোগ, সাপের উপদ্রব থেকে কীভাবে পাকাপোক্তভাবে মুক্তি পাবেন আধিকারিক থেকে জেল বাসিন্দারা, সে বিষয়েও কোনও সদুত্তর এখনও পাননি তারা।  


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের তলোজা সংশোধনাগার থেকে  দুটি পাইথন উদ্ধার করা হয়েছিল।