২৭০ র‌্যাঙ্ক। স্বপ্নের উড়ানে উঠে পড়েছিল তরুণ। বাবা মা নেই মাথার উপর। স্বপ্ন উড়ান ডানা মেলার আগেই অসতর্কতায় এক ক্লিকে হাতছাড়া গেল কষ্ট করে পাওয়া সেই সুযোগ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী ঘটেছে?


রোল নম্বর চেক করতে গিয়ে ভুলবশত আসন ছেড়ে দেওয়ার অপশনটিতে ক্লিক করে ফেলে তরুণ। তাতেই এত মূল্যবান আসন হাতছাড়া হয়ে যায়। এখন সে ফিরে পেতে চায় ওই আসন। পড়তে চায় সে বম্বে আইআইটিতে। অন্যায় আবদার নয়, কিন্তু তাঁর ভুল সংশোধন কি আদৌ সম্ভব! জানে না তরুণ। তাই আইন আদালতের সাহায্য নিয়েছে সে।  কিন্তু সবাই হাত তুলে নিয়েছেন। এমনকি  আইআইটি বম্বেও কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সবই নাকি মেশিনে হয়। হাতে কলমে নয়। তাই কেউ কিছু করতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার এ নিয়ে চূড়ান্ত রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট।


কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, অনলাইনে সামান্য ক্লিকের ভুলে এত দিনের কষ্ট সব মাটি হয়ে যাবে।  শোধরানোর কোনও উপায় নেই?


তরুণের পরিচয়:


আগরার বাসিন্দা সিদ্ধান্ত বাত্রা। বয়স ১৮। বাবা নেই। মা তাঁর কাছে সব ছিল। বছর দুয়েক আগে মাকেও হারায় সিদ্ধান্ত। দাদু-দিদা এবং মামার কাছেই রয়েছে সে। পিতৃ-মাতৃহীন সিদ্ধান্ত বম্বে আইআইটিতে নিজের পাপ্য আসন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। মেধাবী ছাত্র সিদ্ধান্ত এ বছর আইআইটি-তে ভর্তির জন্য জেইই (অ্যাডভান্স) পরীক্ষায় বসেন। তাতে ২৭০ র‌্যাঙ্ক করেন। আইআইটি বম্বে-তে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একটি আসন পেয়ে যান তিনি।


সেখানে রোল নম্বর দেখতে জেইই (অ্যাডভান্স) ওয়েবসাইেট ঢোকেন। সেখানেই ভুলবশত পরবর্তী রাউন্ডের আগে আসন ‘উইথড্র’ করার জায়গাটিতে ক্লিক করে ফেলেন। এরপর তালিকায় নিজের নাম না দেখতে পাওয়ায় ভয় পেয়ে যায় সে। তারপর আইআইটি থেকে আসন ছেড়ে দেওয়ার মেইল পেতেই, ছুটে যায় আইআইটিতে। জানতে পারে তার আর লেখাপড়া করা হবে না সেখানে। এখন আইন আদালতের চক্কর কাটছেন ওই তরুণ।