নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় ৩১১ সাংসদের সমর্থন নিয়ে মধ্যরাতে পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizenship (Amendment) Bill)। বিপক্ষে ভোট পড়ল মাত্র ৮০টি।  সোমবার লোকসভায় বিলটি পেশ হওয়ার পর থেকেই প্রবল হইচই শুরু করে বিরোধীরা। টানা ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর পাস হয় বিতর্কিত এই বিলটি। বিরোধীদের দাবি ছিল দেশের মুসলিমদের নিশানা করতেই এই বিল আনা হয়েছে। পাশাপাশি দাবি করা হয়ে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে এই বিলোর মাধ্যমে।  পাল্টা, ওই দাবি অস্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বাংলায় এনআরসি হবে না, হবে না, হবে না', লোকসভায় CAB বিতর্কে বললেন অভিষেক


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশের মুসলিমদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্থান ও বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের রক্ষা করার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।  বিরোধীদের প্রচারে দেশের মানুষদের মধ্যে কিছুটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই দেশে সংখ্যালঘুদের ভয়ের কোনও কারণ নেই।



উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর থেকেই  বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship (Amendment) Bill) বেআইনি ও অসাংবিধানিক।  এনিয়ে অমিত শাহ(Amit Shah) সংসদে বলেন, এই বিল সংবিধানের ৫ ও ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেনি। এমনকি নতুন আইন তৈরির ব্যবস্থাও রয়েছে সংবিধানে।


এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে বহু বাংলাদেশিকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। উগান্ডার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কেন নয়।  ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। আমরা তা করিনি। বেশিরভাগ মুসলিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। বাকিরা তৈরি করেছেন ভারত। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন হতো না।



আরও পড়ুন-এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে দিল্লি থেকে গ্রেফতার রোমানিয়ান মাস্টারমাইন্ড, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য


ভারত ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে অমিত শাহ বলেন, জওহরলাল নেহরু ও লিয়াকত্ আলির মধ্যে চুক্তি হয়েছিল যে দুদেশ তাদের লংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে। তা কিন্তু হয়নি। ভারতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ হলেও পাকিস্তান তাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।  ১৯৫১ সালে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ।  এখন তা অনেকচাই কমে গিয়েছে। ওই সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের হার ছিল ২২ শতাংশ। এখন তা কমে হয়েছে মাত্র ৭.৮ শতাংশ।  অন্যদিকে, ১৯৫১ সালে ভারতে মুসিলমদের সংখ্যা ছিল ৯.৮ শতাংশ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৪.৩ শতাংশ।