নিজস্ব প্রতিবেদন: সীমান্তে ফের পাক সেনার বর্বরতা। জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে উদ্ধার হল ভারতীয় জওয়ানের গলা কাটা দেহ। দেহে ছিল ৩টি বুলেটের ক্ষতচিহ্ন। ৬ ঘণ্টা ধরে খোঁজ মিলছিল না নরেন্দ্র কুমার নামে ওই জওয়ানের। ঘটনার জেরে ভারত পাক সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার জম্মুর রামগড় সেক্টরে ভারত - পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে মেলে বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র কুমারের গলাকাটা দেহ। এর জেরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখায় রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে এই ঘটনা বেনজির। পাকিস্তানের কাছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে বলেও বিএসএফ-এর তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে। 


আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঘাস কাটতে সীমান্তের কাছে গিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। তখনই সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ গুলি চলে। ৬ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র কুমার। তাঁর দেহ পড়ে ছিল সীমান্তের খুব কাছে। ভারতীয় বাহিনী দেহ উদ্ধারে গেলে পালটা গুলি চালাতে পারত পাক রেঞ্জারস। পাক সেনার সঙ্গে সেজন্য বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ ভারতের। 


জলের অভাবে জতুগৃহ বাগরি! এদিকে ছাদেই ছিল ৫০০০ লিটারের ২৪টি ট্যাঙ্ক


নিখোঁজ জওয়ানের খোঁজ পেতে পাকিস্তানকে যৌথ তল্লাশি অভিযানে যোগদানের অভিযোগ জানিয়েছিল ভারত। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পর পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, জল জমে থাকায় অভিযানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না তারা। 


বুধবার সকালে সূর্য উঠলে ঝুঁকি নিয়েই নিখোঁজ জওয়ানের সন্ধানে নামে বিএসএফ। তখনই উদ্ধার হয় দেহ। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম আন্তর্জাতিক সীমান্তে এমন নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটল। বিষয়টি নিয়ে ভারতের ডিজিএমও পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানা গিয়েছে।