নিজস্ব প্রতিবেদন: দুজন স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে সোমবার এসেছে রহস্যজনক ফোন। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়েছে, সিআরপিএফ-এর কমান্ডোকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। গুলির লড়াইয়ের পর সেই কমান্ডোকে নিয়ে গিয়েছে তাঁরা। এই খবর স্ত্রীয়ের কাছে পৌঁছাতেই, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠি দিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি করেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৩ জন নিখোঁজের কথা প্রথমে জানানো হয়েছিল সিআরপিএফের তরফে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ জন জওয়ানের দেহ। বাকি একজনের খোঁজ চলছে। এরই মাঝে আসে এই রহস্যজনক ফোন। মাওবাদী ও আধাসেনার গুলির লড়াইয়ে পর কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। সাংবাদিকের কথায়,  মাওবাদীরা জানিয়েছে তিনি সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন। তাঁকে কোনও আঘাত করা হয়নি।    


বিজাপুর প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট গণেশ মিশ্র জানিয়েছেন, মাওবাদীরা নিজেদের সেভাবে কোনও পরিচয় দেয়নি। তাঁরা জানিয়েছে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। 


আরেক সাংবাদিক রাজা সিং রাঠোরের কাছে যে ফোনটি আসে, সেখানে ফোনের ওপার থেকে নিজের পরিচয় দেন ব্যক্তি, তিনি মাওনেতা হিদমা। সাংবাদিকের কথায়, হিদমা জানিয়েছে,  'নিখোঁজ জওয়ান তার হেফাজতে রয়েছে। আমি জওয়ানের ক্ষতি করব না এবং তিনি নিরাপদে আছেন। শীঘ্রই তাঁর ছবি পাঠানো হবে। "


ওই কমান্ডোর স্ত্রী জানিয়েছেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহকে অনুরোধ করেছি, তাঁক নিরাপদে যেন ফিরিয়ে আনা হয়। শুক্রবার রাতে ৯.৩০ টার সময় শেষবার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সে আমায় জানিয়েছিল, গুরুত্বপূর্ণ একটা অপারেশন ডিউটি আছে তাঁর'। 


তবে এই ফোন কতটা সত্য নাকি উড়ো তা জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে, উদ্ধারকার্যে জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে আধাসেনার বিরাট টিম। যদি মাওবাদীদের ফোন সত্যি হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠছে কেন বন্দি করেছে ওই জাওয়ানকে? কী তাদের পরিকল্পনা? ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।


প্রসঙ্গত, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মাওবাদীদের নিকেশ করার জন্যই জঙ্গলের ভিতর ঢোকে  সিআরপিএফ। গাছপালা হীন খোলা জায়গায় জওয়ানদের ঘিরে ধরে ৪০০ মাওবাদী। চলে গুলির বৃষ্টি। এমনকি  আইইডি বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। গাছের আড়ালে লোকানো বা পালিয়ে যাওয়ার পথ পায়না তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ছত্তীসগঢ়ে গ্রেনেড-রকেটে হানা করে ৪০০ মাওবাদী। ঘটনায়, ২২জন জওয়ান শহিদ, সঙ্গে ৩০-এর অধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে মাওবাদী নিকেশ হয়েছে মাত্র ১০ জন। জানা যাচ্ছে, মাওবাদীদের পাতা ‘ইউ আকৃতি’ ফাঁদে পা  দিয়েছিল বাহিনী।