নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনে ৫ মাসেই ১৯ বছরের দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ নওগাঁ জেলা আদালতের
হুসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও বাকি দুই নাবালকের বিচার চলছে নাবালক বিচার বোর্ডে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের নওগাঁ জেলায় ১১ বছরের নাবালিকার গণধর্ষণ ও খুনের দায়ে মূল অভিযুক্ত জাকির হুসেন মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল জেলা আদালত। Protection of Children from Sexual Offences বা পকসো আইনে ১৯ বছরের হুসেনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক রীতা কর।
চলতি বছরের ২৩ মার্চ নওগাঁ জেলায় ১১ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ১৯ বছরের জাকির হুসেনের সঙ্গে ছিল তার ১২ বছরের বন্ধু ও ১১ বছরের খুড়তুতো ভাই। এই তিন জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই প্রমাণ রয়েছে পুলিসের কাছে।
হুসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও বাকি দুই নাবালকের বিচার চলছে নাবালক বিচার বোর্ডে। নওগাঁয়ের পুলিস সুপার শঙ্কর রাইমেধির কথায়,''এই মামলাটির জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। দ্রুত পদক্ষেপ করেছেন তদন্তকারীরা। সে কারণে ৫ মাসের মধ্যে বিচার সম্ভব হয়েছে। এটা অসম পুলিসের জন্য একটা রেকর্ড। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার চলেছে''।
অসমে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর গণধষর্ণের ঘটনার পর আছড়ে পড়েছিল প্রতিবাদের ঝড়। গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। তার বাবার কথায়,''আজ আমরা খুব খুশি। হুসেনকে সত্যিই ঝোলানো হবে বলে আশা করি। ঘটনার পর ওর মা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখনও সুস্থ হতে পারেনি''।
বলে রাখি, নাবালিকার বাবা ঠিকা শ্রমিক। সন্তান হারিয়ে শোকেই দিন কাটছে গরিব পরিবারটি।
মার্চে ঘটনার পর তিন অভিযুক্ত-সহ আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেছিল অসম পুলিস। হুসেনকে গাড়িতে পালাতে সাহায্য করেছিল তারা মা-বাবা, ভাই ও জামাইবাবু। গাড়ি চালিয়ে তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল পরিচিত এক ব্যক্তি। যদিও প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে যায় এই পাঁচজন।