নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর উদয়ের পর থেকে জনশ্রুতি, গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আসলে একটি সুপরিকল্পিত ব্র্যান্ড। যেভাবে বাজারে একটি পণ্যকে মেলা ধরা হয়, সেভাবেই মোদীকে বাজারজাত করেছে বিজেপি। জি নিউজে একান্ত সাক্ষাত্কারে নিন্দুকদের এহেন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অমিত শাহ জানালেন, নরেন্দ্র মোদী ব্র্যান্ড নন, জননেতা।                     
     
জি নিউজের এডিটর-ইন-চিফ সুধীর চৌধুরীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ বলেন,''সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সাধারণ মানুষই ক্ষমতায় দেখতে চান''। কিন্তু যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগেই থমকে যায় বিজেপি? অমিতের আত্মবিশ্বাসী জবাব,''এটা হতেই পারে না। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, এমনকি গতবারের চেয়ে বেশি আসন পেয়েই ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি''।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের ফল কী হতে চলেছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনীতিবিদদের। তবে দলের মধ্যে অন্তর্কলহের জেরে রাজস্থান হাতছাড়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজস্থানও বিজেপির হস্তগত বলে দাবি করলেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, আমাদের কোনও হাইকম্যান্ড নেই। সব কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেন। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড রয়েছে। আমার সঙ্গে বসুন্ধরা রাজের খুব ভাল সম্পর্ক। একজনের জন্য দল জেতে না। খুব পরিশ্রম করছেন বসুন্ধরা। রাজস্থানের ক্ষমতার ফেরার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। 


রাফাল নিয়ে সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা যাতে সরকারকে বিপাকে ফেলতে না পারে, সেজন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গে অমিত শাহের খোঁচা, 'রাহুল গান্ধীর অভিযোগ তোলার ক্ষমতা নেই। ওনার হয়ে কে করে সাজিয়ে দেয় জানি না। তবে আমায় বললে একটু প্রশিক্ষণ দিয়ে দেব'। 
  
এদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে অমিত শাহ বলেন,''২০১৯ সালে জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি। ফলে অধ্যাদেশের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই''। বিজেপির ইস্তাহারে রাম মন্দির নির্মাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। অমিতের জবাব, রাম মন্দির নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই। তাঁর আশ্বাস, একটা ইট নয়, গোটা মন্দির তৈরি করব। একইসঙ্গে কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ, রাম মন্দির মামলায় জট পাকাচ্ছেন কপিল সিব্বল। সুপ্রিম কোর্টে তিনি জানিয়েছেন, লোকসভার আগে মামবাপ নিষ্পত্তি করা উচিত নয়। এর থেকে স্পষ্ট, রাম মন্দির মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস।


আরও পড়ুন- ৯০% মুসলিম ভোট নিশ্চিত না করলে লোকসান, কমলনাথের মন্তব্যে বিতর্ক