নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক উপ-নির্বাচনে হার। সেই সঙ্গে দলের ৪ সাংসদের বিদ্রোহ ঘোষণা, সব মিলিয়ে বেকায়দায় যোগী আদিত্যনাথ। এ বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, যোগীর কাছ থেকে জবাব চেয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন আরএসএস-এর দুই নেতৃত্ব কৃষ্ণ গোপাল ও দত্তাত্রেয় হোসাবলে। রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তাঁরা কথা বলেন অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ ও বিজেপির নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে। দিল্লি ফিরে এসে তাঁরা রিপোর্ট দেন, আগামী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে দলের 'খুঁটি' কিছুটা হলেও টলে গিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে কর্মীদের মধ্যে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা দেয় যখন রাজ্যের ৪ দলিত বিজেপি সাংসদ যোগী রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দুই আরএসএস প্রতিনিধির রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, আসন্ন নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি একজোট হয়ে লড়াইয়ে নামার লক্ষ্যে রয়েছে। আর তা যদি হয়, তবে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়তে হবে উত্তরপ্রদেশ বিজেপিকে।


এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই, আদিত্যনাথকে শনিবার দিল্লিতে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিফহালের মতে, তাঁর কাছে অবিলম্বে রাজ্যের পরিস্থিতির কথা জানতে চেয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের পরপর কয়েকটি হিংসাত্মক ঘটনার কারণ জানতে চেয়েও রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


সম্প্রতি, যোগীর গোরক্ষপুর কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। এছাড়াও, কয়েকটি পুরসভা ও নগর পালিকা নির্বাচনেও ভাল ফল করতে পারেনি যোগী সরকার। এই পরিস্থিতিতে দলের সভাপতি অমিত শাহর ভর্ত্সনার মুখেও পড়তে হল যোগীকে। বিজেপি সভাপতিও অবিলম্বে তাঁর কাছে লিখিত আকারে এই ভরাডুবির কারণ তলব করেছেন বলে সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন- মোদীতে নয়, জিততে হলে নিজের পারফরম্যান্সে নজর দিক রাহুল, পাল্টা বিজেপির