নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় মানবাধিকার আয়োগের রজত জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে কন্যা ভ্রূণ হত্যা নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে নারী সুরক্ষা ও অধিকারের কথাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তাঁর কথায়, ''মহিলাদের সুরক্ষা ও তাঁদের সমস্যা দূর করার কাজ করেছে আমাদের সরকার। রাতের শিফটে কর্মরত মহিলাদের জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে''।          
দেশে ভ্রূণ হত্যা নিয়ে মোদী বলেন, ''মেয়েদের বাঁচার অধিকার দিতে চায় না সমাজের সংকীর্ণ মানসিকতার ব্যক্তিরা। মেয়েদের গর্ভেই মেরে দেয় তারা।আমি গর্ব করে বলতে পারি, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির জেরে বিভিন্ন রাজ্যে কন্যা সন্তানের জন্মের হারের অনুপাত বেড়েছে''। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, গত ২৫ বছর ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার আয়োগ। ইন্দিরা গান্ধীর জমানার আপাত্কালের প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, আপাত্কালে জীবনের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বাকি অধিকারের তো প্রশ্নই ছিল না। নিজেদের চেষ্টায় মানবাধিকার ফিরে পেয়েছেন ভারতীয়রা। 


বিজেপি সরকারের স্লোগান সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা মনে করিয়ে মোদী বলেন, বঞ্চিত, শোষিত ও সমাজে নির্যাতিত ব্যক্তিদের উপরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে গত চার বছরে। যা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি লক্ষ্যপূরণ করেছে। আমাদের সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই চলে।


প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উল্লেখ করে মোদী বলেন,''প্রায় ৫০ লক্ষ ভাই-বোনরা ঘরের অধিকার পেয়ে গিয়েছেন। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যেও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার''।   


সামনে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায় বিধানসভার নির্বাচন। লোকসভার আগে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন কার্যত মোদীর কাছে সেমিফাইনাল। তার আগে এদিনও এমার্জেন্সির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী।


রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগঢ়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রাজস্থানে বিজেপির হাল খারাপ। সেখানে শেষবেলায় মোদীকে নামিয়ে  একটা চেষ্টা করতে চাইছেন অমিত শাহ। তবে তা কতটা কার্যকরী তা নিয়ে দলের অন্দরেই সংশয় রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগঢ়ে ১৫ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। সেখানে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া চরমে। তবে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও রমন সিংয়ের ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় এবারও ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। 


আরও পড়ুন- রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ভোটার তালিকা নিয়ে কংগ্রেসের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে