PM Vishwakarma Yojana: ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ৩ লাখ টাকা ঋণ, জন্মদিনে কল্পতরু মোদী
ট্রাডিশনাল কারিগরদের সাহায্যের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হবে সহজ শর্তে ঋণ। প্রাথমিকভাবে কারিগরদের ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। সেই ঋণ শোধ করতে হবে ১৮ মাসে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের আগে মন জয়ের চেষ্টা! রবিবার ৭৩ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এদিনই ঘোষণা করলেন 'পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা'। ওবিসি ক্যাটিগোরির কারিগররা ওই যোজনার সুবিধে পাবেন। এবছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই ওই প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পেরই আজ উদ্বোধন হল। দেশের প্রথাগত শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রাখাতেই এমন প্রকল্প বলে দাবি কেন্দ্রের।
আরও পড়ুন-বেরিয়ে রয়েছে তার, ভ্যাটের মধ্যে পড়ে কী বস্তু! বোমাতঙ্কে তোলপাড় হরিদেবপুর
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা-র জন্য কেন্দ্র খরচ করছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। দেশের মোট ১৮ ধরনের কুটির শিল্পীরা ওই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন কাঠের মিস্ত্রি, নৌকো তৈরির কারিগর, মুচি, তালাশিল্পী, সোনার গহনা তৈরির কারিগর, দর্জি, পুতুল তৈরির করিগর, মাছ ধরার জল তৈরির কারিগর। কারা কারা ওই যাজনার সুযোগ পাবেন তা প্রচার করতে ওইসব কারিগরদের পৃথক ছবি দিয়ে ডাক টিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শর্ত-সহ বিস্তারিত জেনে নিন এই লিঙ্কে ক্লিক করে।
কী সুবিধে পাওয়া যাবে 'পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা'-য়
কারিগররা হাতে পাবেন পিএম বিশ্বকর্মা সার্টিফিকেট ও পিএম বিশ্বকর্মা আইডি কার্ড। ওই কার্ডের বিশেষ ডিজিটাল নম্বর ব্যবহার করে কারিগররা ওই প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধে পাবেন।
মোট তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পকে। এগুলি হল স্কিল অ্যাসেসমেন্ট, স্কিল বেসিক ট্রেনিং ও অ্যাডভান্স ট্রেনিং।
বেসিক ট্রেনিংয়ের সময়ে কারিগরদের রোজ ৫০০ টাকা অর্থাত্ মাসে ১৫ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে।
ট্রাডিশনাল কারিগরদের সাহায্যের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হবে সহজ শর্তে ঋণ। প্রাথমিকভাবে কারিগরদের ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। সেই ঋণ শোধ করতে হবে ১৮ মাসে। পরবর্তী কালে দেওয়া হবে ২ লাখ টাকা ঋণ। সেই ঋণ শোধ করতে হবে ৩০ মাসে। এক্ষেত্র সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ।
কারা পাবেন পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা-র সুবিধে
যেসব কারিগর তাদের পারিবারিক পেশা হিসেবে কোনও কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকবেন।
ঋণ পাওয়ার জন্য বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর।
আবেদনের সময়ে শিল্পীকে তার কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে এবং সেই সময়ে তার কোনও ঋণ থাকা চলবে না।
এই প্রকল্পে নাম রেজিস্চ্রি করতে পারবেন পরিবারের একজন কারিগর।
পরিবারের সরকারি চাকুরে থাকলে প্রকল্পের সুবিধে পাওয়া যাবে না।