মন্ত্রিসভায় রদবদলের ইঙ্গিত, ১২ এপ্রিলের পরই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী
ওয়েব ডেস্ক: মোদী মন্ত্রিসভায় ফের রদবদল? হ্যাঁ, ইঙ্গিত তেমনই। প্রতিরক্ষা এবং বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের রদবদল হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ছিল বর্তমান অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাঁধেই। পরে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরিক্করকে প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মঙ্গলবার ফের গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মনোহর পরিক্কর। সেহেতু প্রতিরক্ষার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। এরপর নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছেতেই প্রতিরক্ষার দায়িত্ব আরও একবার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অরুণ জেটলি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে প্রতিরক্ষা, দু-দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে কিছুটা বিপাকেই পড়তে হতে পারে অরুণ জেটলিকে। তাই দায়িত্ব কিছুটা হাল্কা করে আলাদা আলাদা মন্ত্রকের দায়িত্বে আলাদা মন্ত্রীর কথাই ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী। (জেটলির কাঁধে প্রতিরক্ষা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব)
অন্যদিকে বিদেশ মন্ত্রক নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন নরেন্দ্র মোদী। পারফর্ম্যান্সের নিরিখে বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অনেকের মতেই একশোতে একশো নম্বর পেয়েছেন, কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার কারণেই হয়তো তাঁকে এই মন্ত্রক থেকে সরিয়ে অন্য কোনও মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, এর আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নানান সময়ে রদবদল করেছেন নরেন্দ্র মোদী। গত বছরই জুলাইতে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে স্মৃতি ইরানিকে সরিয়ে দেওয়া হয় বস্ত্র মন্ত্রকে। অন্যদিকে সদানন্দ গৌড়াকে আইন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে, তাঁর কাঁধে স্ট্যাটিসটিক্স মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব অরুণ জেটলির হাত থেকে সরিয়ে নিয়ে বেঙ্কাইয়া নায়ডুর হাতে ওই মন্ত্রকের ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয় কিংবদন্তি সাংবাদিক এম জে আকবরকে। রদবদল হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রকেরও। (অপরাধী কমে, বড়লোক বাড়ল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়)
এবার কী কী রদবদল আনতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ১২ এপ্রিলের পর।