নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণের পুজোও করি। আবার সুর্দশন চক্রধারী কৃষ্ণের আদর্শও মেনে চলি। লাদাখের মাটিতে দাঁড়িয়ে শত্রুকে এভাবেই সমঝে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেনাদের মনোবল জোগানো, পরিস্থিতির পর্যালোচনার সঙ্গে সঙ্গে পুজোঅর্চনাও করেছেন নমো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার নিমুতে ফরওয়ার্ড ব্রিগেড পোস্টে সিন্ধু দর্শন পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। সনাতনী বিধি মেনে নদীকে ফুল দিয়ে অর্চনা করেন। তাঁর সঙ্গে দুই ব্রাহ্মণকেও দেখা গিয়েছে। 



শুক্রবার লাদাখে (Ladakh) যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। তার আগের দিন তাঁর সফল বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে পরেরদিন সকালে আচমকা লাদাখে হাজির হন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত ওই এলাকা। ভারত-চিন দু'তরফেই সীমান্ত বরাবর মোতায়েন করা হয়েছে যুদ্ধবিমান ও বাহিনী। এমন উত্তেজনার মাঝেই সেনার মনোবল বাড়াতে চলে যান মোদী। ভারত মাতা কি, বন্দে মাতরম জয়ধ্বনিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জওয়ানরা। এরপর নাম না করে চিনকে নিশানা করেন মোদী। বলেন,''বর্তমান বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদীদের কোনও জায়গা নেই। ইতিহাস সাক্ষী তারা ধুলোয় মিশে যাবে। শত্রু আপনাদের সাহস দেখেছে। দুর্বল কখনও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। এই দেশে আমরা বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণের পুজো করি, আবার সুর্দশনধারী কৃষ্ণকেও আদর্শ মানি।''


এরপর প্রধানমন্ত্রীর গন্তব্য ছিল, লেহ জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে জখম জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। মোদীর সফরের পর চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান মন্তব্য করেন, কূটনৈতিকস্তরে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে দুই দেশ। এমন সময়ে দুপক্ষেরই এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে সীমান্তের উত্তেজনা বেড়ে যায়। 


আরও পড়ুন- মুম্বই, দিল্লির মতো ৬টি শহরের সঙ্গে সোমবার থেকে বন্ধ হচ্ছে কলকাতার বিমান চলাচল