নিজস্ব প্রতিবেদন:  বিদেশনীতি থেকে অর্থনীতি, কী ভাবছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? ২০১৮ সালে প্রথম সাক্ষাত্কারে জি নিউজকে এইসব বিষয় তাঁর ভাবনার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি নিউজের সম্পাদক সুধীর চৌধুরীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে সব বিষয়েই তাঁর মতামত জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাজেট। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই হতে চলেছে মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। কিন্তু কেমন হবে বাজেট, প্রশ্ন সকলের। এবিষয়েই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাজেটের লক্ষ্য কী? মোদীর সটান জবাব, ''উন্নয়নই বাজেটের একমাত্র লক্ষ্য। এটাই আপনারা দেখতে পাবেন।''


এই সাক্ষাতকারেই আরও একবার লোকসভা ও সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন হওয়ায় প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। রাজনীতিবিদরাও সবসময় চিন্তার মধ্যে থাকেন। এজন্য বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। এতে অর্থ ও শ্রমের অপচয় বন্ধ হবে, বলেও জানান মোদী।


প্রধানমন্ত্রীর ঘনঘন বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর জবাব, ''আমি চিরকালই অনেক জায়গায় যাই। ভারতের ৮০ শতাংশ জেলায় একদিনেরও বেশি কাটিয়েছে আমি।''


অন্যদিকে, নোট বাতিল ও জিএসটির জেরে দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে বলে মোদীর সমালোচনা করে কংগ্রেস। কিন্তু, সরকারের সাফল্য জিএসটি ও নোট বাতিলের উপর ভিত্তি করে দেখলে চলবে না, বলে মত মোদীর। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''আমার সরকার দেশের ভালর জন্য কাজ করছে। একটাও ভুল করিনি আমরা। স্বাধীনতার পর বিদেশি বিনিয়োগ এতটা বাড়েনি। চার বছর সরকার যা কাজ করেছে তা কেবল দুটি মাপকাঠিতে যাচাই করা একেবারে অনুচিত। এরপরই মোদী জানিয়ে দেন, "ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের পরও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় ছিলেন না দেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ। আমরা তাঁদের এনেছি। এটা বড় সাফল্য নয়? শৌচালয় না থাকায় স্কুল ছেড়ে দিত হাজার হাজার মেয়ে, আমরা শৌচালয় তৈরি করেছি। এটা সাফল্য নয়?''    


দেখুন পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাত্কারটি শনিবার রাত ৮টায়।