জলে, স্থলে ও আকাশপথে দেশে পরমাণু হামলায় সক্ষম হওয়ার পর গর্জন মোদীর
২০১৬ সালের অগস্টে নৌসেনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল আইএনএস অরিহন্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরমাণু শক্তির ভয় দেখালে পাল্টা মার। আইএনএস অরিহন্ত ডেটারেন্স পেট্রোল বা সফল মহড়ার পর ফিরে আসায় এভাবেই গর্জন করলেন নরেন্দ্র মোদী। আইএনএসের কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অরিহন্ত একটা বড় পদক্ষেপ''।
২০১৬ সালের অগস্টে নৌসেনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল আইএনএস অরিহন্ত। এরপর ডেটারেন্স পেট্রোলে গিয়েছিল ডুবোজাহাজটি। ভারতীয় জলসীমার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছে সেটি। সমু্দ্রের তলা থেকে সফলভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম হয়েছে। এটির সফল মহড়ার পর পরমাণু ত্রয়ী হাতে এল সেনার। অর্থাত্ এখন জল, স্থল ও আকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম হল ভারত। এখনও পর্যন্ত পরমাণু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের হাতে ত্রয়ী রয়েছে। সেই দলে যোগ দিল ভারত।
প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন,''প্রথম ডেটারেন্স পেট্রোল সফলভাবে সম্পন্ন করল আইএনএস অরিহন্ত। কর্মীদের সকলকে ধন্যবাদ। তাঁদের মনে রাখবে ইতিহাস। দেশের নিরাপত্তার পক্ষে এটি অত্যন্ত দরকারি ছিল''। মোদীর হুঁশিয়ারি, পরমাণু হামলা চালানোর যারা হুমকি দেয়, তাদের সমুচিচত জবাব দিল আইএনএস অরিহন্ত। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন,''শান্তি আমাদের দুর্বলতা নয়, এটা আমাদের শক্তি''।
পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম আরও একটি ডুবোজাহাজ আইএনএস অরিধমানের এখন ট্রায়াল চলছে। ২০১৯ সালে সেটি সেনায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।