নিজস্ব প্রতিবেদন : লক্ষ্য ২০১৯, আর সেই নির্বাচনের হার্ডেল পার করতে এখন থেকেই কার্যত ময়দানে নেমে পড়ার কৌশল সাজিয়ে নিল বিজেপি। ২০১৪-র নির্বাচনের মতো এবারও তাই বিজেপির তুরুপের তাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। সূত্রে খবর, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশজুড়ে ৫০টি জনসভা সেরে ফেলবেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর এপ্রিল - মে মাসে লোকসভা নির্বাচন হতে পারে। নোটবাতিল থেকে জিএসটি, শিল্পায়ন থেকে কর্মসংস্থান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এবার কঠিন পরীক্ষার মুখে মোদী অ্যান্ড কোম্পানি। অন্যদিকে, এই ইস্যুগুলিকেই সামনে রেখে মোদী বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। তার ওপর রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার রাজনৈতিক মেরুকরণের অভিযোগও উঠছে। সম্প্রতি, একাধিক এনডিএ শরিকও নরেন্দ্র মোদীর একাধিক নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণও করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।


আরও পড়ুন- অমিত ঘুরে যাওয়ার পর চলতি মাসেই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী


এই পরিস্থিতিতে ২০১৯ নির্বাচনে কার্যত ঘরে বাইরে চাপের মুখে মোদী। তার পরও দল আরও একবার তরুপের তাস বানাতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, তাঁর বাগ্মীতাই বিজেপিকে এবারের নির্বাচনে আরও বেশি আসন জিততে সাহায্য করবে বলে মত দলের একাংশের।


সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমপক্ষে ১০০টি লোকসভা এলাকার জন্য ৫০টি জনসভা করার টার্গেট রয়েছে প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে কয়েকটি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। তবে সেই সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। আগামী ১৬ই জুলাই কৃষি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেদিনীপুর শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন মোদী। জনসভাও করবেন তিনি। কৃষিপণ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে তা নিয়েই কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদীকে ফের মসনদে আনতে গো-বলয়ের রাজ্যগুলিতে ভালো ফল করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শেষপর্যন্ত বিরোধীদের সমঝোতা হলে সেখানে অনেকগুলি আসন হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের। সেই ঘাটতি পূরণে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দিকে নজর দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতেই পশ্চিমবঙ্গে মোদী ও শাহ ঘনঘন আসতে চলেছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে প্রবল বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।