জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। এনিয়ে সরব হয়েছিলেন শাবানা আজমি। পাশাপাশি সুর চড়িয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। এনিয়ে এবার ওই দুই অভিনেতাকে নিশানা করলেন মধ্য়প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। বর্ষীয়ান দুই অভিনেতাকে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের স্লিপার সেলের সদস্য বলে কটাক্ষ করেছেন মিশ্র। কেন এমন আক্রমণ? নরোত্তম মিশ্রর দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও ইস্যু হলেই এই দুজন সোচ্চার হয়ে ওঠেন। এখানেই থেমে থাকেননি মিশ্র। তিনি বলেন, শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ ও জাভেদ আক্তারের মতো লোকজন হল টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের স্লিপার সেলের সদস্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও সমস্যা হলেই এরা চিত্কার করতে শুরু করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সেরা ঘুমকাতুরে, ঘুমিয়েই ৬ লাখ টাকা জিতে নিলেন শ্রীরামপুরের ত্রিপর্ণা


কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে শাবানা-রা কোনও শব্দ করেন না বলে মন্তব্য করেন মিশ্র। তিনি বলেন, রাজস্থানে খুন হল কানহাইয়ালাল। তা নিয়ে শাবানার মুখে কোনও কথা নেই। ঝাড়খণ্ডে যে মহিলাকে জ্বালিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে তাঁর মুখে কোনও কথা নেই। টুকরে টুকরে গ্যাং বা অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি গ্যাংয়ের লোকজন এসব দেখতে পান না।



উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিলকিস বানোর ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মুক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হল শাবানা আজমি। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে শাবানা বলেন, ভেবেছিলাম ওইসব কয়েদিদের ছেড়ে দেওয়ার পর দেশজুড়ে বিশাল প্রতিক্রিয়া হবে। একদিন, দুদিন, তিনদিন অপেক্ষা করলাম। মিডিয়া বা অন্য কোথাও সেরকম কিছু দেখলাম না। একদিন আমি কয়েকজনের সঙ্গে একটা আলোচনাসভায় বসেছিলাম। একজন বলল, ওরা তো অনেকদিন জেল খেটেছে। এখন তাদের ছেড়ে দেওয়া হল কী ক্ষতি! ওরা সবাই জানে ওই ১১ জন কী করেছে। ওদের কথা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমরা মনে হয়ে বিলকিস বানোর সঙ্গে কী হয়েছে তার কোনও ধারনাই নেই ওদের। ওই ১১ জনকে শুধু ছেড়েই দেওয়া হয়নি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। লাড্ডু বিলি হয়েছে। ভেবে দেখুন আমরা সমাজকে কী বার্তা দিচ্ছি? কী বার্তা দিচ্ছি দেশের মেয়েদের? যেদিন ওদের ছেড়ে দেওয়া হয় সেই দিনই সরকার নারী শক্তির কথা বলেছিল। ভাবতে পারছি না, নির্ভয়া কাণ্ডে গোটা দেশ রাস্তায় নেমেছিল। বিলকিস বানোর ক্ষেত্রে কেন নয়?


মুসলিম বলেই কি বিলকিস বানোর জন্য কেউ সরব হল না? শাবানা আজমি বলেন, এর থেকে বেশি আর কী ভাবব বলুন? দেশে এখন শুধু হিন্দু মুসলিম বিতর্ক। আমরা তো মনে হয় এরকম একটা কাণ্ড করে দেশে আরও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করাই লক্ষ্য। সেই রেষারেষিকে ভোটের কাজে লাগানো। এর থেকে আমার আর কিছু মনে হয় না। ওই ১১ জনের পক্ষে বলা হয়েছে, ওরা ব্রাহ্মণ। ওদের মধ্যে একটা 'সংস্কার' রয়েছে। অপরাধ করেছে কী করেনি তাও জানি না। ভেবে দেখুন ১১ জনকে অপরাধী ঘোষণা করে তাদের আদালত সাজা দিয়েছে। তারপরেও কেউ বলছে ওইসব লোকজন অপরাধ করেনি! কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ ছাড়া গুজরাট সরকার এমনটা কীভাবে করতে পারে? মহিলা কমিশন থেকে মানবাধিকার কমিশন কেন নীরব?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)