নিজস্ব প্রতিবেদন: আমেরিকার হুঁশিয়ারিতে ত্রস্ত নয় ভারত। দ্য জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি)-র আওতায় বিশেষ সুবিধাভোগী দেশের তালিকায় ভারতকে অন্তর্ভুক্তি করছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক চালিয়ে যেতে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে আমেরিকা। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দেশের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে ভারত। অর্থাত্ মার্কিন পণ্য আমদানি ক্ষেত্রে ভারত একই রকমভাবে শুল্ক বসাবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জিএসপি আওতায় এত দিন উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে নানা সুবিধা পেয়ে এসেছে ভারত। বিশেষ করে গাড়ির যন্ত্রাংশ ও বস্ত্র উত্পাদনের কাঁচামাল-সহ প্রায় ২০০০ পণ্য বিনা শুল্কে রফতানি করে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছোটো ব্যবসায়ীরা কম দামে সে সব কাঁচামাল ক্রয় করেন। এর ফলে উত্পাদিত পণ্যের দামও তুলনামূলক কম হয়। ২০১৭ সালে ভারত প্রায় ৫৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। যা মার্কিন-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কে নয়া দৃষ্টান্ত তৈরি করে মোদী সরকার।


আরও পড়ুন- প্রতিদিন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করুন, বার্তা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাবরই অভিযোগ, ভারতের পণ্যের উপর কোনও শুল্ক চাপানো হয় না। কিন্তু তাদের পণ্যে একশো শতাংশ শুল্ক চাপাচ্ছে ভারত। মার্কিন রফতানি পণ্যে শুল্কের হার শূন্যে নামানোর দাবি জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত তাঁর এই হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত না করায়, জিএসপি থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে চলতি বছরে ৫ জুন।


এখন প্রশ্ন, জিএসপির-র আওতার বাইরে থাকলে ভারত কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে? মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে নয়া শুল্ক গুনতে হবে আমেরিকার ছোটো ব্যবসায়ীদের। বিনিয়োগে ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেকারত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞ ড্যান অ্যান্টনি বলছেন, মার্কিন আমদানিকারীদের যেমন অতিরিক্ত শুল্ক গুনতে হবে, তেমনই বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভারতের রোষের মুখে পড়তে পারেন মার্কিন রফতানিকারিরাও। চিনের পর শুল্কযুদ্ধে বিপুল বাজার সম্পন্ন ভারতও জড়ালে জয়ী কোনও পক্ষ হবে না বলে সাফ জানান ড্যান অ্যান্টনি। কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভূত সাফল্য মেলার পরও ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হেন সিদ্ধান্ত যারপরনাই অস্বস্তিতে মোদী সরকার ২।