নিজস্ব প্রতিবেদন: মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা বলছেন অজিত পাওয়ার। এনসিপির বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন দলের বিধায়করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দল ভাঙানোর ভয়ে দলের বিধায়কদের মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে এনে তুলেছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস। রেনেসাঁ হোটেল এনে রাখা হয়েছে এনসিপি বিধায়কদের।  সেখানেই বিধায়করা দলের বৈঠকে দাবি করেন, বিজেপিকে সমর্থন দিলে মন্ত্রী করা হবে। ফোনে এমনটাই বলেছেন অজিত পাওয়ার।


আরও পড়ুন-বিজেপির সঙ্গে জোটের কোনও সম্ভাবনা নেই, অজিতের দাবি ওড়ালেন শরদ পাওয়ার


দলের বিধায়কদের মনবল বাড়াতে আজ তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, বিধায়কদের তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই লড়াইয়ে জয়ী হবে শিবসেনা ও এনসিপি জোট। এবং রাজ্যকে একটি স্থায়ী সরকার উপহার দেবে।


রবিবার বিকেলে টুইটে বোমা ফাটান এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তিনি লেখেন, ‘শরদ পাওয়ার আমার নেতা। এনসিপি আছি এবং থাকব। রাজ্যে একটি স্থায়ী সরকার গঠন করবে বিজেপি-এনসিপি জোট।’ এদিকে, ওই টুইটের পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিবৃতি দেন পাওয়ার। তিনি বলেন, রাজ্যে শিবসেনার সঙ্গে জোট করেই সরকার গড়বে এনসিপি।


অন্যদিকে, ঘনঘন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় বিকেলে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বলেন উদ্ধব ঠাকরে। ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ছিলেন শিবসেনা নেতা স়্জয় রাউত, একনাথ সিন্ধে ও আদিত্য ঠাকরে।



আরও পড়ুন-'ছোট মন, কাল সন্ত্রাস হলেই দাওয়াই হবে', ভোটের আগেরদিন তৃণমূলকে বিঁধে হুঁশিয়ারি দিলীপের


মারাঠা মুলুকের রাজনীতিতে অজিত পাওয়ার একটি পরিচিত নাম। ২০১২ সালে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় তিনি পদ ছাড়তে বাধ্য হন।  সম্প্রতি মহারাষ্ট্র স্টেট কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতেও তাঁর নাম উঠেছে। এহেন অজিত এবার পাল্টি খেয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আর ১০-১২ বিধায়ক। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তাঁকে দল থেকে এখনও বের করেননি শরদ পাওয়ার। শুধুমাত্র পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েই কাজ সেরেছেন এনসিপি প্রধান।