নিজস্ব প্রতিবেদন : কর্ণাটক নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসার পরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ বিজেপি। তার ওপর যোগীর রাজ্যে দুটি উপ-নির্বাচনে ভরাডুবি। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ দল। এসবের পরও, ২৮মে দেশের ১০টি বিধানসভা ও ৪টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল বিজেপি। তার ওপর এই আসনগুলির অধিকাংশই ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যে। কিন্তু ৩০মে নির্বাচনের ফল বাইরে আসতেই একের পর এক আসন হারাতে থাকে কেন্দ্রের শাসকদল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ-র এই ভরাডুবিতে বিজেপিকে দুষতে শুরু করেছে শরিকদলগুলি। আর তাই বড়ভাই বিজেপির দিকেই বারবার আঙুল তুলতে শুরু করেছে তারা। এমনকী দলের অন্দরেই মোদী-শাহ'র ভোট নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে বলে খবর রাজনৈতিক মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১০টি বিধানসভা আসনে বড় ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। উত্তরাখণ্ডে মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। অন্যদিকে, মেঘালয়, কর্ণাটক ও পঞ্জাবে জিতেছে কংগ্রেস। বাকি ৬টির মধ্যে সিপিএম, সপা, তৃণমূল ও আরজেডি ১টি করে এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২টি আসনে জিতেছে। উত্তরপ্রদেশের নুরপুর ও পঞ্জাবের শাহকোটে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে পারেনি এনডিএ। বিহারের জোকিহাট আসন বিজেপির শরিক জেডিইউ-র কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে লালুর দল আরজেডি। একই অবস্থা ৪টি লোকসভা আসনেও। সেখানেও মোদী ম্যাজিক কার্যত গায়েব। ভোটের ফল ২-২। যোগীর রাজ্যে গোরক্ষপুরের পর এবার বিজেপিকে হারতে হয়েছে কৈরানাতেও। সেখানে বিরোধী জোটের প্রার্থী তবসুম হাসানের কাছে হেরেছে বিজেপি। তবে, এতকিছুর মাঝেও মহারাষ্ট্রের পালগড়ে শিবসেনাকে সম্মানের লড়াইয়ে হারিয়েছে তারা।


আরও পড়ুন- এনডিএ-তে চিড়? উপনির্বাচনে খারাপ ফলের পরই শরিকি দোষারোপ


এই পরিস্থিতিতে এবার শরিকরা বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করল। বৃহস্পতিবারই জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেছিল, পেট্রোপণ্যে ক্রমাগত দামবৃদ্ধির জেরেই এই ফল। গোটা দেশজুড়ে অসন্তোষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই দামবৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। উল্লেখ্য, গতবছর মহাজোট ছেড়ে মোদীর সঙ্গে হাত মেলান নীতীশ কুমার। তারপর থেকে একের পর এক নির্বাচনে হেরেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, নীতীশের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে জেডিইউ-র অন্দরে।  


জেডিইউ-ই শুধু নয়, বিজেপির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের বারবার সতর্ক করে চলেছে অপর শরিক শিবসেনাও। তাদের দাবি, অবিলম্বে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের উচিত এনডিএ-র শরিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসা। সেই সঙ্গে তাদের প্রতি বিমাতৃসুলভ ব্যবহার থেকেও বিজেপিকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে শিবসেনা।


সূত্রের খবর, শরিকদের অসন্তোষই যে শাহ-মোদীদের শুধু ভাবাচ্ছে তাই নয়, এই ফলের পর দলের অন্দরেই বেশ কিছু নেতা ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ জানিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ চন্দন মিত্র একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, দলের হাই কম্যান্ডের উচিত অবিলম্বে নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। তা নাহলে, আগামী নির্বাচনে ভেঙে পড়তে পারে গোটা এনডিএ পরিবার। তার মতো দলের একটা বড় অংশই মোদী-শাহ'র নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর।


আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের ফল শাপে বর? নাকি ২০১৯ সালে মোদী যুগের পতনের ইঙ্গিত?