ভুয়া তিন তালাকের চিঠি দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ পড়শির, অভিযোগ নিল না পুলিশ
ন`বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সেই মহিলার। স্বামী বহুদিন ধরেই বিদেশে থাকেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বামী বহুদিন ধরেই থাকে সৌদি আরবে। তিনি পেশায় কাগজকুড়ানি। তিন সন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন। কিন্তু আচমকাই যেন এক রাক্ষসের নজর পড়ল তাঁর উপর। লন্ডভন্ড হয়ে গেল তাঁর জীবন। দানিশ নামের এক পড়শি তাঁকে সেই মহিলাকে এসে একদিন একটা চিঠি দেখায়। দানিশ বলে, সৌদি আরব থেকে তাঁ স্বামী এই চিঠি পাঠিয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, স্বামী তাঁকে তিন তালাক লিখে পাঠিয়েছে। দানিশের মুখ থেকে এমন কথা শুনে প্রথমে চমকে উঠেছিলেন সেই মহিলা। তার পর বাস্তব মেনে নেন। এর মধ্যে যে দানিশের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল তা গুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি সেই মহিলা।
আরও পড়ুন- মন্দিরেই মধ্যেই ধর্ষণ, অভিযোগের তির প্রধান পুরোহিতের দিকে
প্রথমে সেই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন দানিশ। তার পর দিনের পর দিন ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে। ইতিমধ্যে আরব থেকে ফিরে আসেন মহিলার স্বামী। তিনি এসব জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মহিলাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং তিন তালাক দেন। চরম বিপাকে পড়ে সেই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু পুলিশের তরফে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়। এর পরই স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হন সেই মহিলা। আদালতের তরফে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জাসপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সুশীল কুমারের দাবি, ব্যাপারটা সিরিয়াস বলে তারা প্রথম তদন্ত করে দেখতে চেয়েছিলেন। তাই সেই মহিলা ও দানিশের সম্পর্কে তারা খোঁজ খবর নেওয়াও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আপাতত আদালতের নির্দেশ মেনে অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে, অভিযুক্ত দানিশের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে তারা।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে আধার নম্বর দিলেন ট্রাই চেয়ারম্যান, ফেরত পেলেন নিজের ব্যক্তিগত তথ্য
ন'বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সেই মহিলার। স্বামী বহুদিন ধরেই বিদেশে থাকেন। দানিশকেও পড়শি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন সেই মহিলা। স্বামী না থাকার দরুন মাঝেমধ্যেই সেই মহিলার কাছে আসত দানিশ। কিন্তু একদিন হঠাত্ করেই একখানা চিঠি সে দেখায় সেই মহিলাকে। পরে সেই মহিলা বলছিলেন, ''আমি পড়াশোনা শিখিনি। তাই ওই চিঠি পড়তে পারিনি। ও যা বলল তাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম।''