নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় বদল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই শিক্ষা নীতিতে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদল করে করা হল শিক্ষা মন্ত্রক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাড়িতে ফিরে ছেলে দেখে, চৌকিতে পড়ে মায়ের নিথর দেহ, বাবা ঝুলছে কড়িকাঠে


কী রয়েছে ওই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায়!


কেন্দ্রের পরিকল্পনা হল, দশম ও দ্বাদশ শ্রণিতে আর নতুন করে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে আনা হচ্ছে ৫+৩+৩+৪ পদ্ধতি। এখানে প্রাথমিককেও আনা হচ্ছে স্কুলের আওতায়। ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টু-কে রাখা হচ্ছে প্রি-প্রাইমারির মধ্যে। এটিকে বলা হচ্ছে ফাউন্ডেশন কোর্স।


নতুন ব্যবস্থায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্টেজ করা হচ্ছে। এটিকে বলা হচ্ছে সেকেন্ডারি স্টেজ। ফলে ওই স্টেজ চালু হলে এখনকার মতো আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা হবে না।


নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৪ বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা নেবে বোর্ড। বাকি নেবে স্কুল।


এই চার বছরের কোর্স হবে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি। অর্থাত্ পড়ুয়ারা তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারবে। তবে দেখতে হবে ওই কম্বিনেশন পরবর্তিতে উচ্চশিক্ষায় যেন অসুবিধার কারণ না হয়। 


এদিকে, উচ্চশিক্ষায় যারা গবেষণা করবে তাদের ৪ বছরের কোর্স হবে। এমফিল করতে হবে না। স্নাতক স্তরে প্রতি বছরের পর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। দ্বিতীয় বছরের পর দেওয়া হবে ডিপ্লোমা। তৃতীয় ও চতুর্থ বছরের পর দেওয়া হবে স্নাতক সার্টিফিকেট।


আরও পড়ুন-বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে অমিতের শ্রদ্ধা, 'অতীত' মনে করিয়ে ঠুকলেন অভিষেক, খোঁচা পার্থর


বিজেপি সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহার ছিল শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার। এনিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গন। গত বছর কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়ালের কাছে ওই প্রস্তাব জমা দেয় কমিটি। সেই খসড়া প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে পোখরিওয়াল।